মোঃ লিখন, গাংনী উপজেলা প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনীর রাইপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত মানুষের নাম দিয়ে চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
তাছাড়া ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রামের আওতায় অসচ্ছলদের মাসে ৩০ কেজি করে বরাদ্দ থাকলেও ৫ মাসের চাল না দিয়ে দেয়া হয়েছে ৩ থেকে ৪ মাসের এভাবেই অসচ্ছলদের চাল লুটপাটের অভিযোগে করেছে ভুক্তভুগীরা।
এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্যানেল চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে।
জানাগেছে,২০২৪ সালে ৫ আগষ্টের পর মামলা জনিত কারনে রাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু আত্মগোপনে থাকার কারনে জোর পূর্বক প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হাতিয়ে নেন শালদহ ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য সারগিদুল ইসলাম।দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন বলে জানা গেছে।
জানাগেছে,চলতি বছর ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার দরিদ্র অসচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে ঈদ উপহারের ১০ কেজি করে তিন হাজার দুই শত জনকে চাল বরাদ্দ করে।বরাদ্দ অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরে চাল বিতরনকারীদের একটি তালিকা জমা দিয়েছে সেই তালিকায় থাকা গোপালনগর গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হকেরও নাম আসে।তবে গত ২৩ সালের ৭ এপ্রিল মোজাম্মেল হক মারা গেলেও তাকে চাল দেয়া হয়েছে। এভাবেই ভুয়া তালিকা দিয়ে চাল আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভুগীরা।
মৃত মোফাজ্জেল হকের ছেলে মিনারুল ইসলাম বলেন,
আমার বাবা গত ২৩ সালের ৭ এপ্রিল মারা যান।আর বাবার নামে চাল বরাদ্দ হয়েছে কিনা তা জানি না।তবে আমার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে গ্রামের একজনের মাধ্যমে ১০ কেজি চাল পেয়েছি।দশ কেজি চাল কম না বেশি তাও পরে মাপিনি যা দিয়েছে তাই নিয়ে এসেছি।
এদিকে চাঁদপুর গ্রামের আবুছদ্দীন বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ভিডব্লিউবি) আওতায় তাকে ৩০ কেজি করে প্রতি মাসে চাল বরাদ্দ দেয়ার কথা। গত ৫ মাসের চাল দেয়া বন্ধ ছিলো। সেই ৫ মাসের চাল একবারে সরকার বরাদ্দ দিলেও তাকে দেয়া হয়েছে ৩ মাসের এভাবেই অসচ্ছলদের চাল লুটপাটের অভিযোগে করেছেন তিনি।
রেকসোনা খাতুন নামের একজন বলেন, ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রামের আওতায় ৫ মাসের চাল বরাদ্দ থাকলেও তিনি তিন মাসের চাল পেয়েছেন। বাকী দুই মাসের চাল তিনি পাননি।
অনিয়মের বিষয়ে রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম বলেন, মৃত মানুষের নামে চাউলের কার্ড হয়েছে ওটা এক নম্বর ওয়ার্ডে।বিষয়টা আমি জানিনা।তবে আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
এ বিষয়ে রায়পুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আতিয়ার রহমান আজাদ বলেন,মৃত ব্যক্তির নামে চাউলের কার্ড হয়েছে,বিষয়টি সত্য।তবে এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ভালো জানেন।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, মৃত মানুষের নামে চাল দেওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি।তবে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে।আর এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি