রাইবাতুল তানজুম রিমি,ক্রাইম রিপোর্টারঃ সাধারণ জনগণের সমস্যা নিরসণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
গতকাল ২৯ জুন( রোববার) বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে সামাবেশ ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় গুলো এমপিও ভুক্ত করণের দাবিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় রহমাতুল্লাহ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের লুন্ঠনের কারণে দুর্ভোগ বহুগুন বেড়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল না এ কারণে জনগণের দুর্ভোগ-সংকট লাঘবে তারা কোন কাজ করেনি।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল না বলেই জনগণের দুর্ভোগকে গুরুত্ব দেয়নি ফ্যাসিবাদী এ দল।
তিনি আরও বলেন, তাদের ১৫ বছরের শাসনের মধ্য তারা চেয়েছিল তাদের ক্ষমতাকে এককভাবে পাকাপোক্ত করতে ও এক ব্যক্তিকে দেশের মানুষকে পুজা করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
অথচ যাকে জোর করে জাতির পিতা বানোনোর চেষ্টা করা হয়েছিল তিনি ও তার দল যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।
শায়েস্তাবাদের মানুষের ভাঙ্গনকবলিত অসহায় মানুষের দুর্দশা বর্ণণা দিয়ে তিনি মানববন্ধনে বলেন, নদি ভাঙ্গনের কারণে ঐ এলাকার এক তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে। সেখানকার মানুষ এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করলেও সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি৷ এ বিষয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
রহমাতুল্লাহ বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলগুলো নিজেদের অর্থায়নে অনেক কস্ট করে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছে। তাদের অবদান অনেক। বিগত আওয়ামী লীগ এই সব প্রতিষ্ঠানগুলোক৩ এমপিও ভুক্ত করেনি। প্রতিবন্ধীদের জন্য এমপিওভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতিজোর দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টারও সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এদিকে শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ হেমায়েত হোসেন মুরাদ ও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুল কবির ফরহাদকে নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল নদী ভাঙ্গন রোধে ও প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে
প্রধান উপদেষ্টা ও পানি সম্পদ উপদেষ্টার ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করেন।
অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র নগর, জেলা ও অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও ক্ষতিগ্রস্তরা।