মাহমুদুল হাসান, গবি প্রতিনিধি : প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পূর্ণ করল সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি)। তবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনেও ছিল না কোনো জাঁকজমক আয়োজন বা শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে মাত্র একটি প্রতীকী র্যালির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে অংশ নেন গুটিকয়েক শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা। উপস্থিতির সংখ্যা ছিল আনুমানিক ৩৫-৪০ জন। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম, আর ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল না কোনো উৎসবের ছোঁয়া, ছিল না সাজসজ্জা, ব্যানার কিংবা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সীমিত আয়োজন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন গবির সাবেক শিক্ষার্থী রেহান ইসলাম রোমন। তিনি লেখেন, “মাত্র ৩৫-৪০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তার অংশগ্রহণে আনন্দ র্যালি! এটি কোনো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হতে পারে না। শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ছাড়া এমন আয়োজন অর্থহীন। বড় পরিসরে উদযাপন করতে প্রশাসন কেন পারছে না? এটাই প্রশ্ন।”
একই সুরে হতাশা প্রকাশ করেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্য জ্যোতি চক্রবর্ত্তী। তিনি বলেন, “আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গবি সবসময় নিজেকে ব্যতিক্রমী দাবি করে, কিন্তু আজ তার কিছুই দেখতে পেলাম না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এদিন থাকে আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। এখানে কিছুই হলো না। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার আশা থাকবে, ভবিষ্যতে প্রশাসন এ বিষয়ে গুরুত্ব দেবে।”
এই সীমিত আয়োজন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সকলের, তাই র্যালিতে সবার অংশগ্রহণ কাম্য ছিল। তবে সামনে জুলাই মাসে ‘গণ অভ্যুত্থান’ উপলক্ষে বড় আয়োজন থাকায় এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছোট পরিসরে করতে হয়েছে। ওই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মো. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় গণ বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁর লক্ষ্য ছিল এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যেখানে স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা সমাজ ও জনগণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে।