প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২৫ , ১:৪৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ নগরীতে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার (২৬ জুলাই ২০২৫) টানা তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঐতিহাসিক বড় মসজিদ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর পাটগুদাম থেকে কাচারি সড়কে অবস্থান নিয়ে ডিসির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় তারা। এতে ওই রুটে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে এবং সাধারণ পথচারী ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
জানা যায়, শিশু নির্যাতন ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি মাদরাসা থেকে বহিষ্কৃত হন মাওলানা আজিজুল হক। তবে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত জেলা প্রশাসক মোঃ মুফিদুল আলম সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে মুফতি মোফাজ্জল হককে শিক্ষক পদ থেকে ও মুফতি সারোয়ার হোসেনকে উপাধ্যক্ষ পদ ও পরিচালনা কমিটি থেকে অপসারণ করেন তিনি। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই আকস্মিকভাবে এই বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাওহীদুল ইসলাম ও নাজমুস সাকিব অভিযোগ করে বলেন, একটি প্রভাবশালী মহল বহিষ্কৃত আজিজুল হকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মূল ঘটনা আড়াল করে ডিসিকে প্রভাবিত করেছে। এর ফলে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পুনর্বহাল করা হলেও নিরপরাধ শিক্ষক মুফতি মোফাজ্জল ও মুফতি সারোয়ার হোসেনকে অন্যায়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন- মুক্তকথন কল্যাণ ফাউন্ডেশন
তারা আরও দাবি করেন, ডিসি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের শ্রদ্ধেয় হুজুরদের (মাওলানা আব্দুল হকসহ) শাসিয়ে অপমান করেছেন। এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে মাদরাসা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছে, প্রতিষ্ঠানটির বড় হুজুর মাওলানা আব্দুল হক নিয়মনীতি না মেনে পরিবারতন্ত্র চালু করেছেন, যা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বিরোধের অন্যতম কারণ।
এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা প্রশাসক মোঃ মুফিদুল আলম ও মাওলানা আব্দুল হকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোঃ শিবিরুল ইসলাম বলেন, “সড়ক অবরোধের বিষয়ে আমরা অবগত। বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করছি দ্রুত সমাধানে পৌঁছানো যাবে।”