অনুসন্ধান

নাটোরে ফসলী জমিতে পুকুর খনন, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত সংবাদকর্মীরা

  প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২৫ , ২:৩১:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

সাধীন আলম হোসেন, নাটোর প্রতিনিধি :  নাটোর সদর উপজেলার ছাতনি ইউনিয়নের বারঘুরিয়া এলাকার কাজনগাড়ি নামক বিলে ডিসি,এসপির দোহাই দিয়ে ৩ ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করার সময় সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত হলে মাটিখেকোরা সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন ভাবে লাঞ্ছিত করেন।রবিবার(২৭শে জুলাই-২০২৫)বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।পরে এ ঘটনায় নাটোরের স্থানীয় দৈনিক বারবেলা পত্রিকা(রেজিঃনং-রাজ৩৬৬)এর স্টাফ রিপোর্টার মাহবুর রনি জানান,ঐ বিলে অবৈধভাবে ৩ ফসলি জমিতে পুকুর খনন হচ্ছে মর্মে খবর পেয়ে আমি ও আমার আরও ২ জন সহকর্মী সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে মাটি খেকো তৌসিক সহ তার দলবল আমাদের উপর চড়াও হয় এবং জেলা প্রশাসক(ডিসি)ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) তাদের অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান।পরে সংবাদকর্মীরা অনুমতির কাগজ আছে কিনা জানতে চেয়ে ভিডিও শুরু করলে তৌসিফ এবং তার সহযোগীরা তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,এই পুকুর খননে বিল ও জলাশয়ের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ এবং কৃষিকাজে ব্যবহারযোগ্য জমির ক্ষতি করছে। এর ফলে আশেপাশের জমির জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় এক কৃষক বলেন,এই বিলে আগে ধান হতো, মাছ পাওয়া যেত, এখন পুকুর কাটতে কাটতে সব দখল হয়ে যাচ্ছে। আজ সাংবাদিকদেরও তাড়িয়ে দিয়েছে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা?”

এই বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে একাধিকার মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ হয়নি।

এদিকে ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক সংবাদকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান নাটোর জেলা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি এড.আলেক উদ্দিন শেখ।ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি নাটোর জেলা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা,প্রতিবাদ ও সুষ্ঠ বিচার চেয়ে ডিসি, এসপি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে খোলা চিঠি প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র হতে জানা গেছে এধরনের অনুমোদন সাধারণত পানি উন্নয়ন বোর্ড,পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ভূমি অফিসের যৌথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেওয়া হয়। কেউ যদি কাগজপত্র ছাড়া পুকুর কাটে, তা অপরাধের শামিল।

Author

আরও খবর

Sponsered content