Day: 29 July 2025

  • বরগুনায় ডেঙ্গু আউট ব্রেক প্রকল্পের এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত

    বরগুনায় ডেঙ্গু আউট ব্রেক প্রকল্পের এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত

    মাইনুল ইসলাম রাজু, বরগুনা প্রতিনিধিঃ আজ সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ সূবর্ণ জয়ন্তিতে স্টার্ট ফান্ডের সহযোগিতায় এনএসএস ও জাগোনারী আয়োজিত ডেঙ্গু আউট ব্রেক প্রকল্পেরএ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পৌর প্রশাসক মি : অনিমেষ বিশ্বাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফাত্তাহ।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি নেতা মো. সালেহ ফারুক, সাবেক সিভিল সার্জন ডা.হারুন অর রশিদ, জাগোনারীর নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা হাসি ও সাংবাদিক জাকির হোসেন মিরাজ।

    সভায় বক্তারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও লজিস্টিক সংকটের চিত্র তুলে ধরেন এবং দ্রত সংকট নিরসনের দাবী জানান।

    অনুষ্ঠানে সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ইয়ুথ ভলান্টিয়ার,এনজিও ও সুশীল সমাজের ৪০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

  • বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

    বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

    নোমাইনুল ইসলাম,বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।এ সময় আস্তানা থেকে একে-৪৭ ও রাইফেলসহ অন্যান্য অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।আইএসপিআর জানায়, রাঙামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।অভিযান এখনো চলমান। একে-৪৭সহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

    এ সময় একটি একে-৪৭ রাইফেল, তিনটি দেশীয় বন্দুক, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি একে-৪৭ ম্যাগাজিন, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি কার্তুজ, ৪২টি খালি কার্তুজ, চারটি ওয়াকিটকি সেট ও ব্যাটারি, একটি অ্যামুনিশন পাউচ, একটি জিপিএস ডিভাইস, তিনটি কলম আকৃতির গোপন ভিডিও ক্যামেরা, দুটি বোতাম আকৃতির গোপন ক্যামেরা, একটি চশমা, ইউপিডিএফ লং লাইভ লেখা পাঁচটি আর্মব্যান্ড, ইউপিডিএফ পতাকা তিনটি, বিভিন্ন ধরনের ১০টি বই এবং চাঁদা আদায়ের দুটি রশিদ বই উদ্ধার করা হয়।

  • পাইকগাছায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনীন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পার্থ প্রতিম রায়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সুজন কুমার সরকার,এসআই মোঃ ছাবিবুর রহমান।

    এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা অনাথ কুমার বিশ্বাস, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান আলী শেখ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার ঘোষ, সহকারী প্রোগ্রামার মৃদুল কান্তি দাস, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মৌলুদা খাতুন, পৌরসভা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান, মেরিন ফিশারিজ অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঝংকার ঢালী, প্রভাষক শেখ আবু সাইদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আঃ ওয়াহাব ও দেবাশীষ সরদার।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সানা, আবুল হাসেম, খোরশেদুজ্জামান, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ বদরুল আলম, ইউপি সদস্য শেখর কুমার ঢালী ও শংকর কুমার, সিএ আব্দুল বারী ও কৃষ্ণপদ মন্ডল।

    সভায় প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর সভাপতি প্রকাশ ঘোষ বিধান ও সাধারণ সম্পাদক এম জালাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

    সভায় উপজেলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং নাগরিক সেবা, উন্নয়ন কার্যক্রম ও সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

  • পঞ্চগড়ে জিপিএ ৫ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

    পঞ্চগড়ে জিপিএ ৫ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

    পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় এসএসসি, দাখিল এবং এইচএসসি, আলিম সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ১৭ জন শিক্ষার্থীদের কৃতি সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধানের আয়োজনে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, বই, ডায়েরী ও কলম তুলে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।এতে সদর উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, মাদক, মোবাইল আসক্তি, অনলাইন গেম থেকে দূরে থেকে পড়াশোনা মনোযোগী হতে হবে। পুুঁথিগত বিদ্যা নয় সামগ্রিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ করতে হবে। বাবা মায়ের কথা মত চলতে হবে। শুধু ডিগ্রি অর্জন করে চাকুরী নেয়া উদ্দেশ্য নয় সু শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তবেই তোমরা স্বার্থক হবা।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে গরু জব্দ করা নিয়ে সংঘর্ষে বিজিবির গুলিতে ৩ জন নিহত

    ঠাকুরগাঁওয়ে গরু জব্দ করা নিয়ে সংঘর্ষে বিজিবির গুলিতে ৩ জন নিহত

    ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিনিধি,,হাসিনুজ্জামান মিন্টুঃ  ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে গরু জব্দ করা নিয়ে সংঘর্ষে বিজিবির গুলিতে ৩ জন নিহত ও ১৮ জন আহতের ঘটনার সাড়ে ৬ বছর পর আদালতে মামলা করেছেন এক কলেজছাত্র। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক রাজিব কুমার রায় মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হরিপুর উপজেলার বেতনা বিওপির নায়েক মো. হাবিবুল্লাহ (৩৭), নায়েক দেলোয়ার হোসেন (৩৫), সিপাহী হাবিবুর রহমান (৩৫), সিপাহী মুরসালিন (৩৭), সিপাহী বায়রুল ইসলাম (৩৩), নায়েক সুবেদার জিয়াউর রহমানসহ (৪০) অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

    মামলার বাদী আব্দুল কাশেম (২৫) হরিপুর উপজেলার রুহিয়া গ্রামের মো. আমিরুলের ছেলে এবং হরিপুর সরকারি মোসলেমউদ্দিন কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

    তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দাবি, ভারতীয় গরু জব্দ করায় সশস্ত্র চোরাকারবারিরা হামলা করলে তারা গুলি চালাতে বাধ্য হন। আর গ্রামবাসী বলছে, বৈধ কাগজ থাকার পরও বিজিবি সদস্যরা গরু নিয়ে যাচ্ছিল। তার প্রতিবাদ করায় বিজিবি গুলি চালায়। তাদের গুলিতে হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের রুহিয়া গ্রামের নজরুলের ছেলে দিনাজপুর সরকারি কলেজের ছাত্র মো. নবাব (২৬), একই গ্রামের জহির উদ্দীনের ছেলে মো. সাদেক (৩৬) ও বহরমপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জয়নুলসহ (১২) তিনজন নিহত ও ১৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বহরমপুর গ্রামের হুকুম হাজীর ছেলে হবিবর রহমান ২টি গরু ও রুহিয়া গ্রামের নাজিম ৩টি গরু জাদুরানী হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বেতনা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা গরুগুলো আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও কেন গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের পেটে রাইফেলের নল ঠেকায়। এ দৃশ্য দেখে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করে। এ সময় বিজিবির সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই নবাব, সাদেক ও জয়নুল মারা যান।

    তবে এই ঘটনায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক কেএম কামরুজ্জামান সেলিম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চোরাই গরু ঢুকেছে সন্দেহে বিজিবি অভিযান চালায়। তারা বেশ কয়েকটি গরু জব্দ করে। এ সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ বাধে এবং গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    তবে এ ঘটনায় তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শীলাব্রত কর্মকারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম গঠন করে দিয়েছিলেন।

    মামলার বাদী মো. আবুল কাশেম ঢাকা পোস্টকে জানান, সেদিন আমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে রাস্তায় দেখি বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে গরু আটক নিয়ে বাগবিতণ্ডা চলছিল। এমন সময় হঠাৎ করে বিজিবির ছোড়া গুলি আমার ডান চোখে এসে লাগে। ওই ঘটনায় ৩ জন নিহতসহ ১৮ জন আহত হন। আমরা বেশ কয়েকবার থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমাদের মামলা নেয়নি পুলিশ। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই ২টা মামলা করেন বিজিবি। তাদের মামলায় আমি দুইবার জেলও খেটেছি।

    তিনি আরও বলেন, গত বছরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে মামলা করার পরিবেশ আসায় আমি ন্যায় বিচারের আশায় ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত দিয়েছে। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার

  • “ময়মনসিংহে সাত মাসে ৬৩ খুন, আতঙ্কে জনজীবন”

    “ময়মনসিংহে সাত মাসে ৬৩ খুন, আতঙ্কে জনজীবন”

    আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সামাজিক অবক্ষয় ও বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা দায়ী

    ময়মনসিংহে চলতি বছরের মাত্র সাত মাসে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই ২০২৫) পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছে ৬৩টি হত্যাকাণ্ড। বেশিরভাগ হত্যার পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পারিবারিক কলহ, সামান্য বিরোধ বা তুচ্ছ ঘটনা। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উদ্বেগ ও আতঙ্ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় জোরদার করা হবে বিট পুলিশিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম।

    জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে চার বছরে ময়মনসিংহে মোট ৪৫১টি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যেই ঘটেছে ৬৩টি হত্যাকাণ্ড—যার প্রতিটির কারণ খুঁজলে বেরিয়ে আসছে ‘তুচ্ছ’ রাগ, পারিবারিক দ্বন্দ্ব কিংবা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ক্ষোভ।

    সম্প্রতি ময়মনসিংহ সদরের রাঘবপুর গ্রামে চাচা আলতাব হোসেন খুন হন ভাতিজির সঙ্গে স্বামী রাসেলের বিচ্ছেদের জেরে। ১১ জুলাই রাতে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থেকে ১৭ জুলাই তিনি মারা যান। অভিযুক্ত রাসেল এখনও পলাতক।

    ভালুকায় একটি ঘটনায় দেবরের হাতে খুন হন এক গৃহবধূ ও তার দুই সন্তান, শুধুমাত্র খাবার নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে। এমনকি ১০ টাকা নিয়ে ঝগড়া বা কথার কাটাকাটিও কখনো প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে।

    ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বেশিরভাগই তাৎক্ষণিক রাগ বা আবেগের ফল। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের চেয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষোভই বেশি ভয়ানক হয়ে উঠছে। এই প্রবণতা রোধে আমরা বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করছি।”

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে কাজ করছে গভীর সামাজিক অবক্ষয়, পারিবারিক অনুশাসনের অভাব এবং বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ ওয়াকিলুর রহমান বলেন, “আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়ছে। সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবারও মূল্যবোধ ও শালীনতার চর্চা শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা দূর না করা পর্যন্ত এ ধরনের অপরাধ থামবে না।”

    পুলিশ বলছে, জনসচেতনতা বাড়ানো ও অপরাধ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে।