মোঃ রাসেল আহমেদ,নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদন উপজেলায় এক তরুণীর গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেল ও জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে তানজিল মীর (২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ভিকটিম ওই তরুণী অবশেষে আদালতে তালাকনামা দেন এবং থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের হয়।
ভুক্তভোগীর ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে মদন থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেন, উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের বাবুল মীরের ছেলে তানজিল মীর তার বোনের (১৮) গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ব্ল্যাকমেল করে একাধিকবার অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্য করেন।
ভয়ে গত ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে নেত্রকোনা কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করতে বাধ্য হন ওই তরুণী। তবে বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক দাবি করেন তানজিল। ভিকটিম পোশাক শ্রমিক হিসেবে চট্টগ্রামে উপার্জন করা জমানো ২ লাখ টাকা স্বামীর হাতে তুলে দেন।
এরপরও নির্যাতন থামেনি। অভিযোগ রয়েছে, তানজিল মাদক ও জুয়ার আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সাথে ভিডিও কলে অশালীনভাবে কথা বলার জন্য চাপ দেন টাকার বিনিময়ে। এতে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় মারধর।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে নেত্রকোনা কোর্টে গিয়ে তালাক দেন ভুক্তভোগী। তালাকনামা পাঠানোর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই নারীর একাধিক অশালীন ভিডিও প্রকাশ করে তানজিল। বিষয়টি সামনে আসায় ফের মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর ভাই, diesmal পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে।
বিজ্ঞাপন- মুক্তকথন কল্যাণ ফাউন্ডেশন
ভিকটিম জানান, তানজিল মীর এর আগেও একাধিক নারীর ভিডিও গোপনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করেছেন। এ ধরনের অপরাধ করে সে বহুজনকে হয়রানি করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত তানজিল মীর বলেন, “আমাকে তালাক দিয়েছে, যাতে অন্য কোথাও বিয়ে না করতে পারি— এজন্যই আমি ভিডিওগুলো ছেড়েছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্ত্রীর সাথে আলোচনা চলছে।”
এ বিষয়ে মদন থানার তদন্ত কর্মকর্তা দেবাংশু বলেন, “ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”