মোঃ সুরুজ্জামান,ত্রিশাল উপজেলা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ১১ নম্বর মোক্ষপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাপখালী গ্রামের সাপখালী বাজার থেকে জাকির ফকিরের ঘাট পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। আনুমানিক ১৯৭৪ সালে নির্মিত এই কাঁচা রাস্তাটি আজও পাকা হয়নি, ফলে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
এই রাস্তাটি শুধু একটি চলাচলের পথ নয়, এটি একটি জনবহুল এলাকার প্রধান সড়ক। সাপখালী বাজার থেকে শুরু হয়ে জাকির ফকিরের ঘাট পর্যন্ত এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থী, গার্মেন্টস শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের একমাত্র নির্ভরযোগ্য পথ এই রাস্তাটি।
প্রতিদিন সকাল-বিকেল অসংখ্য শিশু-কিশোর বিদ্যালয় ও মাদরাসায় যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। তবে বর্ষাকালে রাস্তার অবস্থা এমন হয় যে, হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। কাদা-পানিতে ভরা রাস্তাটি যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী কিংবা প্রসূতি নারীদের হাসপাতালে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকে না। এমনকি অনেক সময় এম্বুলেন্স দূরে থাক, পায়ে হেঁটে যাওয়ারও সুযোগ থাকে না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা দৈনিক মুক্তকথন নিউজকে বলেন, “আমরা বছরের পর বছর ধরে কষ্ট পাচ্ছি এই রাস্তার কারণে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে যায়, হেঁটে যাওয়ারও উপায় থাকে না। গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় নানা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।”
আরেকজন আমাদের জানান, “স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি—এই রাস্তাটি যেন দ্রুত পাকা করা হয়।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, বছরের পর বছর ধরে ভোট এলেই রাজনৈতিক নেতারা আশ্বাস দিয়ে যান, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
তাদের প্রাণের দাবি—এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি যেন দ্রুত পাকা করে দেওয়া হয়। এতে শুধু দুর্ভোগই কমবে না, বরং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হবে, রোগী পরিবহন সহজ হবে, নারীদের চলাফেরা নিরাপদ হবে এবং সামগ্রিকভাবে উন্নয়নের দ্বার খুলবে।
সাপখালী গ্রামের সচেতন জনগণ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছেন—“আমাদের দাবি একটাই—সাপখালী বাজার থেকে জাকির ফকিরের ঘাট পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত পাকা করা হোক।”