এইচ এম এরশাদ,আন্তর্জাতিক সংবাদদাতাঃ কুয়েতে আর দালালদের রামরাজ্য নেই!বাংলাদেশ দূতাবাস এখন আর নমনীয় নয়—এখন তারা কঠোর, সচেতন এবং সর্বোপরি প্রবাসীবান্ধব। মেজর জেনারেল মোহাম্মদ তারেক হোসেন-এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাস দালালদের বিরুদ্ধে যা করছে, তা নিঃসন্দেহে ইতিহাস গড়ার মতো।
দীর্ঘদিন কুয়েতগামী কর্মীদের রক্তচোষা এক দালাল চক্র বেঁধে রেখেছিল। ভিসা বাণিজ্যের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত এই চক্র, যাদের মদদ দিত কিছু অসাধু কোম্পানি ও রিক্রুটিং এজেন্সি। কিন্তু এখন দূতাবাসের কঠোর নজরদারি আর নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপে এই সিন্ডিকেটে পড়েছে বড় ধস।
নতুন নিয়মে যা যা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে:
◑২ বছরের লিখিত চুক্তি ছাড়া কোনো ভিসা অনুমোদন নয়
◑ন্যূনতম বেতন, ছুটি, থাকা-খাওয়ার নিশ্চয়তা
◑ গৃহকর্মী নিয়োগেও সরাসরি সাক্ষর নিয়ে মানবাধিকার নিশ্চিত
◑ কোম্পানিকে প্রবাসীবান্ধব শর্ত মানতে বাধ্য করা
অসাধু কোম্পানির কালো তালিকাভুক্তি: দৃষ্টান্ত স্থাপন
সম্প্রতি ‘ওয়েল আল নসিফ’ নামের একটি প্রতারক কোম্পানি, যারা মাত্র ৩ মাসের চুক্তিতে লাখ টাকা আদায় করত, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে শক্ত বার্তা দিয়েছে দূতাবাস—প্রবাসীর কষ্টের ঘাম নিয়ে ব্যবসা আর চলবে না!
আরো যেসব সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে দূতাবাস:
◑ প্রতিমাসে গণশুনানি ও দায়িত্বের জবাবদিহিতা
◑ হটলাইন, অভিযোগ বাক্স, ফেসবুক-ওয়েবসাইটে সক্রিয় তথ্যসেবা
◑ দুর্নীতিপরায়ণ স্টাফদের অপসারণ, যোগ্যদের পদায়ন
◑ মৃত প্রবাসীর মরদেহ ৩-৭ দিনের মধ্যে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা
◑দালাল শনাক্ত করে দেশে ফেরত পাঠানো
◑ স্বচ্ছতা ও গতি এনে পাসপোর্ট-ভিসা সেবায় আমূল পরিবর্তন
◑ কূটনৈতিকভাবে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কার্যকর তৎপরতা
রাষ্ট্রদূতের বার্তা একটাই: “দালাল-মাফিয়াদের কোনো ছাড় নেই!”
তাঁর নেতৃত্বে এখন প্রবাসীরা পাচ্ছেন সত্যিকারের সেবা, সম্মান ও সুরক্ষা। যারা ভেবেছিল, তারা চিরকাল প্রবাসীদের ঠকিয়ে যাবে, তাদের স্বপ্ন আজ চুরমার।
আজ প্রবাসীরা বলছেন:
“দীর্ঘদিন পরে মনে হচ্ছে কেউ আছেন আমাদের পাশে, দূতাবাস এখন আর অফিস নয়—এটা এখন প্রবাসীদের আশ্রয়স্থল!”