সংবাদকর্মীর কথা

লালমনিরহাটে সাংবাদিকের ওপর হামলা, গ্রেফতার ১

  প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২৫ , ১২:৪৫:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

সোহেল রানা,স্টাফ রিপোর্টারঃ লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সদস্য ও স্থানীয় ‘সাপ্তাহিক আলোর মনি’-পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক কবি হেলাল হোসেন কবিরকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বেদম পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনি ও তার মা আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার(৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকরা ঢঢগাছ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হলে রাতেই সোহরাব আলী (৪৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার সোহরাব আলী ‌এক‌ই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে।

পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৫-৬ মাস আগে আব্দুল আজিজ নামে একজনকে জুয়া খেলার জন্য পুলিশ আটক করে। এতে হেলাল কবিরকে তাদের সন্দেহ হয়। এজন্য বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল এবং পরে সদর থানায় একটি জিডিও করে সে।

শনিবার সন্ধ্যার পর সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হলে ১০-১২ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে এবং তার পকেট থাকা ১৭ হাজার ৩০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে ধারালো ছোরা দিয়ে তার গলায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। তার মা ছামছুন্নাহার বেগম লুসি তাকে বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় আহত হেলাল হোসেন কবির ও তার মাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন, যেখানে ১১ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। এর আগেও ২০১৩ সালে এই সাংবাদিক হেলাল কবিরকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছিলো দুর্বৃত্তরা।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুন্নবী জানান, এজাহার প্রাপ্তির পর দ্রুত তদন্ত শুরু করেছি এবং প্রধান আসামি মোঃ সোহরাব আলীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Author

আরও খবর

Sponsered content