বিশ্ব

দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলার জমিয়ত উলামা হিন্দের সম্পাদক মুফতি আমিন উদ্দিন সরদারের উপস্থিতে ভারতবর্ষের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস পতাকা উত্তোলন

  প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২৫ , ৪:১৯:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

মোমিন আলি লস্কর জয়নগর -(পশ্চিমবঙ্গ ভারত): দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার জয়নগর এক নম্বর ব্লকের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলেরচালতাবেড়িয়া দারুল উলুম সালাম ঈদগাহ পক্ষথেকে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস একটি দীর্ঘ ও কঠিন পথ, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পরিচালিত হয়েছিল। এই সংগ্রামে নরমপন্থী ও চরমপন্থী উভয় ধারার আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। অবশেষে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে, কিন্তু দেশভাগের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।ভারতের স্বাধীনতা লাভের ইতিহাস একটি দীর্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। এই স্বাধীনতা লাভের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস।

 

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সাল থেকে ভারতে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করে এবং ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারত শাসন করা শুরু করে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে থাকে এবং এর ফলস্বরূপ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলন গড়ে ওঠে। মহাত্মা গান্ধী অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৭ সালের ভারত ব্রিটিশ সরকার শেষ পর্যন্ত ভারত বিভাজন করে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।
স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট (১৩৫৪ বঙ্গাব্দের ২৯ শ্রাবণ, শুক্রবার) ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫ আগস্ট তারিখটিকে ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে।

 

স্বাধীনতা আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ শহিদ হয়েছেন দেশ মাতৃকার শৃংখল-মোচনের জন্য অনেক বিপ্লবী হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। অনেক বিপ্লবীকে আজীবন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব-মুহুর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয় এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্যের জন্ম ঘটে। ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।আজ ১৫ই আগস্ট, আমাদের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। এই বিশেষ দিনে, আমরা সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করি, যাদের অসীম সাহস ও সংগ্রামের কারণে আমরা স্বাধীন একটি দেশে বাস করতে পারছি। তাই আমরা জাতী ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সকলে মিলে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ ভাই ভাই একত্রে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।
আজ চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের চালতাবেড়িয়া দারুল উলুম সালাম ঈদগাহ উদ্যোগে 79 তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হলো উপস্থিত
ছিলেন দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলার জমিয়ত উলামা হিন্দের সম্পাদক মুফতি আমিন উদ্দিন সাহেব সহ মাদ্রাসার শিক্ষক মন্ডলী ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ গন ।

 

দক্ষিন ২৪পরগনার জেলার জমিয়তের সম্পাদক এবং মাদ্রাসা দারুল উলুম সালাম ঈদগাহ প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট সমাজ সেবক মুফতি আমিন উদ্দিন সাহেব বলেন ১৯০বছর ভারতের মাটিতে ব্রিটিশ অবশাসন ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক লন্ডভন্ড করে নিয়ে চলে যায় নি বরং তাদের কে উৎখাত করার জন্য ভারতবর্ষের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃ্ত্বরা লড়াই করেছেন।১৯০বছর লড়াই করে ১৯৪৭সালে ১৫আগষ্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করেন। বর্তমান আমরা স্বাধীন ভারতবর্ষের বসবাস করি।আমরা চাই আজকেই ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে জাতী ধর্ম নীরভি শেষে আমরা যেন স্বাধীন ভাবে করতে পারি সম্প্রীতির মিলন বন্ধন ভাবে একসঙ্গে জুড়ে থাকতে পারি এটা আমাদের বার্তা।

ভারতবর্ষ ইংরেজদের বন্দী দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গান্ধীজির নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছিলেন।এই আন্দোলনের ফলে হাজার হাজার মানুষের রক্তের রাজপথ লাল হয়ে গিয়েছিল তবুও ভারতের বীরযোদ্ধারা ইংরেজদের কাছে মাথা নত করনি ।এই আন্দোলনের হিন্দু, মুসলিম বৌদ্ধ সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এমনকি এই স্বাধীনতা জন্য অনেকের জেলে যেতে হয়েছিল,কেউ বা হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ে নিয়েছে ।তবুও ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করেনি তাদের এই আত্মত্যাগ আজ আমাদের মনকে উৎপেড়িত করে তোলে। ভারতবর্ষের এইসমস্ত বীরযোদ্ধাদের আমরা কোনোদিন ভূলবোনা ।আমাদের মাদ্রাসা দারুল উলুম সালাম ঈদগাহ পক্ষথেকে ভারত বর্ষের স্বাধীনতার জন্য যারা রক্তদিয়ে দেশমাতাকে ইংরেজদের বন্দী দশার হাত থেকে ভারতবর্ষ কে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের আত্মা শান্তি কামনা চিরদিন তাদের কথা স্মরণ রাখার জন্য আজ ১৫ আগষ্ট আমাদের চালতাবেড়িয়া মাদ্রাসা দারুল উলুম সালাম ঈদগাহ উদ্যোগে আমরা ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি।

Author

আরও খবর

Sponsered content