প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২৫ , ৪:৩০:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি: মধ্যনগর উপজেলা দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের চান্দালি পাড়া গ্রামের মনসুর আলী, নাজিম উদ্দিন ,শামসুল হক ,ইব্রাহিম, ও মাজেদা বেগম এর বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে মধ্যনগর প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে গ্রামের কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুনছুর আলী। এসময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাজিম উদ্দিন (৬৫), শামছুল হক, ইব্রাহিম মিয়া ও মাজেদা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে মুনছুর আলী বলেন আমাদের প্রতিবেশী মালা আক্তার ওরফে তানিশা দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি একাধিক বিয়ে, প্রতারণা, ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ব্ল্যাকমেইল এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর আগে গত ৫ জুলাই প্রতারণামূলক একটি মামলায় কারাভোগও করেছেন তিনি।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রামের মানুষ যখন তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করেন, তখন প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তিনি গত ২৫ জুলাই ৬৫ বছরের বৃদ্ধা সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি নাজিম উদ্দিনকেও ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে, যায় বয়স ৬৫বছর। এলাকাবাসীর মতে এটি একটি চরম মিথ্যাচার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পরদিনই স্থানীয় সাংবাদিক এম.এ মান্নান যাচাই-বাছাই ছাড়াই একটি জাতীয় দৈনিক ও কয়েকটি অনলাইন মাধ্যমে এ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে এজাহার ভুক্ত আসামিদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
বক্তারা আরও জানান, মামলার আগে যখন মালা আক্তার থানায় অভিযোগ করতে আসেন, তখন এলাকাবাসী ও পুলিশ তার পূর্বেকার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত থাকায় মামলা গ্রহণ করেনি। কিন্তু পরবর্তীতে সাংবাদিক এম.এ মান্নানের সহযোগিতায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশকের কাছে অনুরোধ জানান বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করার জন্য। একইসাথে তারা মিথ্যা মামলার বাদী মালা আক্তার ওরফে তানিশা এবং সাংবাদিক এম.এ মান্নানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান