প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৪:০৯:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৪তম রবীন্দ্র ও ৪৯তম নজরুল মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩১ আগস্ট ২০২৫) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দুই কবিই স্থান, কাল, পাত্রকে অতিক্রম করেছেন। রবীন্দ্রনাথ পারিবারিক সাহচর্য পেলেও নজরুল ছিলেন সংগ্রামী। সৈনিক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক—তিনি ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। কেবল রবীন্দ্রনাথই নয়, কবি নজরুলও একজন বিশ্বকবি।”
রবীন্দ্র বক্তা হিসেবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আজম বক্তব্য দেন। তিনি রবীন্দ্রনাথকে উদারনৈতিক মানবতাবাদী ও চিরন্তন ক্লাসিক কবি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “তিনি প্রত্যেক কালে নতুনভাবে জেগে ওঠেন, তাই আমরা তাঁকে জীবিত আকারে চর্চা করব।”
নজরুল বক্তা হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোঃ জেহাদ উদ্দিন বলেন, “অন্ধকার ভারতবর্ষে নজরুল ছিলেন প্রদীপের মতো। পরাধীন দেশের স্বাধীন কবি হিসেবে তিনি মৃত্যুকে তুচ্ছ করে বিদ্রোহ করেছেন।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন আলোচনা সভা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ হাবিব-উল-মাওলা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মোঃ জিল্লাল হোসাইন।
আলোচনা সভা শেষে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের পক্ষ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় কিস্তির গবেষণা অনুদানের চেক গবেষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নজরুলের জীবন ও কর্ম বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পে নির্বাচিত ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীত পরিবেশিত হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পুরো আয়োজন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।