এর আগে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। এবার ডাকসুর মোট ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন।
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী ছিলেন।
এ ছাড়া সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছিলেন ২১৭ জন প্রার্থী। ১৮টি হল সংসদের ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল।
প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২৮ জন প্রার্থী নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন। ফলে চূড়ান্ত তালিকায় দাঁড়ায় ৪৭১ জন প্রার্থীর নাম।
হাইকোর্টের এ আদেশের ফলে ডাকসুর বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন আপাতত অনিশ্চয়তায় পড়েছে।