প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৯:২৬:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে দুটি দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দীর্ঘ বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শহিদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদকে একীভূত করে একক (কম্বাইন্ড) ডিগ্রির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খালি করার নির্দেশনা বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি হলে সব ধরনের সুবিধা চালু রাখা হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার আশ্বাসও দিয়েছে প্রশাসন।
পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসানুল হক হিমেল জানান, “আমাদের সব দাবি যৌক্তিক। উপাচার্য স্যার আশ্বাস দিয়েছেন, আন্দোলনে জড়িত কোনো শিক্ষার্থীকে প্রশাসনিক বা একাডেমিক হ্যারাসমেন্ট করা হবে না। তবে আমরা চাই, এসব সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে প্রকাশ করা হোক।”
এ সময় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান দীপু বলেন, “আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। তাই বুধবারের (৩ সেপ্টেম্বর) ঘোষিত কর্মসূচি আমরা স্থগিত করেছি। তবে বাকি চারটি দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করছি।”
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল আলীম বলেন, “সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি মীমাংসা হয়েছে। অন্য চারটি দাবিও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।”
শিক্ষার্থীদের অন্য চার দাবি হলো—
১. প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ।
২. বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা।
৩. হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
৪. অবিলম্বে একক (কম্বাইন্ড) ডিগ্রি প্রদান।
প্রসঙ্গত, পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদ একীভূত করে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ এক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত ৩১ আগস্ট রাতে বহিরাগতদের হামলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে এবং শিক্ষার্থীদের হল খালি করার নির্দেশ দেয়। তবে শিক্ষার্থীরা সেই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন এবং ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।