মনিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা: চীনের অর্থায়নে নির্মিত হতে যাওয়া বাংলাদেশে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট তিনটি হাসপাতালের একটি বৃহত্তর কুমিল্লা বা নোয়াখালীতে তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন বির্তাকিক, তরুণ সাংবাদিক ও উপস্থাপক কামরুল হাসান।
তরুণ সাংবাদিক উপস্থাপক বিতার্কিক কামরুল হাসান
বাংলাদেশর আঞ্চলিক ও ভৌগলিক দিক থেকে পুরোনো বন্ধু রাষ্ট চীন। স্বাধীনতার পর থেকে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতি কে সমৃদ্ধশালী সম্ভাবনাময় গড়ে তুলতে অপরিসীম ভূমিকা রাখে।প্রযুক্তি খাতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) চাঁদপুর জেলা ডিবেট এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কামরুল হাসান এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ ভ্রমণ
দীর্ঘ দিন বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক আকাশে ফ্যাসিজমের অবস্থান পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ বিভিন্ন বিষয়ে চীন বাংলাদেশের বিনোয়োগ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে।
অবশেষে ছাত্র জনতার বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন চীনা বিপ্লব শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তবর্তিকালীন সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড: মোঃ ইউনুস চীন সফরে যান সেখানে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই কোন প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রনায়ককে লালগালিচায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ চীন মৈত্রী বিশেষায়িত, অর্থ্যাৎ চীনের অর্থায়নে তিনটি ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করতে যাচ্ছে আমাদের দেশে।
আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ করবো দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দারা চিকিৎসার দিক থেকে তারা অনেক পিছিয়ে আছে। যেকোনো রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হয় ঢাকায়। এতে করে স্পর্শকাতর রোগীরা মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। শহড়ে দীর্ঘ যানজট অতিরিক্ত রোগীর চাপ এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের কে।
রাজধানীর অদূরে এ চারটি জেলার যেকোনো একটিতে হসপিটাল টি তৈরি করলে এ অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী উপকৃত হতো।ঢাকাতে রোগীদের চাপ কমতো। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা রোগীরা সুচিকিৎসা পেতো।বাংলাদেশ ভ্রমণ
বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে তাদের হেভিওয়েট অনেক নেতার বাড়ি এ অঞ্চলে হলেও তারা এনিয়ে ভ্রুক্ষেপ করেনি।
আলোচনার শেষ পর্যায়ে কামরুল হাসান জানান এরজন্য প্রয়োজনে আমরা কর্মসূচি প্রদান করব ।