প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৯:৩৫:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি,মোঃ আসাদুজ্জামান : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নিষিদ্ধ সংগঠনের ৭৭ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার ১ নম্বর আসামি মৎস্যজীবিলীগ নেতা গফফার বিশ্বাস (৩৯) ও ২ নম্বর আসামী যুবলীগ নেতা রকিবুল ইসলাম রকিবকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ছাত্রলীগ ছাড়াও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের নেতাদেরকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় একাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে জেলার বোয়ালমারী পৌরসদরের ওয়াবদা মোড়, ডাকবাংলোর সামনে ও মহিলা কলেজের মোড়সহ কয়েকটি স্থানে ‘হটাও ইউনুস, বাঁচাও দেশ’ শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ লিখে শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত রঙিন ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানো হয়। ব্যানারের নিচে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকির নাম দেওয়া হয় এবং ওই ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো একটি ভিডিও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকসহ কয়েকজন ছাত্রলীগের ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পরেরদিন সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্যানার ও ফেস্টুনগুলি স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের নজরে আসে। এতে এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠনের মিছিল, মিটিং ও ব্যানার ফেস্টুন এলাকায় লাগিয়ে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অপরাধে এ ঘটনার ৪দিন পর বৃহস্পতিবার বোয়ালমারী থানা পুলিশ বাদি হয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭৭জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন।
মামলার ১ নম্বর আসামি পৌর মৎস্যজীবি লীগের আহ্বায়ক পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমগ্রামের বাসিন্দা তেল ব্যবসায়ী গফফার বিশ্বাস ও ২ নম্বর আসামি পৌর যুবলীগের সদস্য পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কামার গ্রামের বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম রকিব।
এ মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মর্তুজা তমালকে ৩ নম্বর এবং সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর-৫।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক(এসআই) শামীম দেওয়ান বলেন