মো:কোরবান আলী রিপন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাস্তবায়িত হয়েছে অভাবনীয় উন্নয়ন কার্যক্রম। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত এর নিবিড় পর্যবেক্ষণের কারণে কোন রকম অনিয়ম ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
এসব প্রকল্পে শিক্ষা, ক্রীড়া, কৃষি, সরকারি দপ্তর ও অবকাঠামো খাতে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।
অবকাঠামো উন্নয়ন:
সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে গ্রামীণ অবকাঠামো খাত। নতুন সড়ক নির্মাণ ও পুরনো সড়ক সংস্কারের ফলে বহু মানুষের যাতায়াতে স্বস্তি ফিরেছে।
উপজেলার দুর্গানগর ইউনিয়নের বাবলাপাড়া সুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে গাড়লগাতি রহিমের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ প্রকল্পটি এ বছরের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগে বর্ষাকালে হাঁটু পানি ও কাদার মধ্যে চলাচল করতে হতো; এখন ওই সড়ক দিয়ে সহজে যাতায়াত করা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময় এই পথে চলাফেরা ছিল দুর্ভোগের অন্য নাম। এখন পাকাকরণের পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
শিক্ষা ও ক্রীড়া খাত:
শিক্ষাখাতেও এসেছে পরিবর্তন। উপজেলায় ৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্রেঞ্চ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৭৮টি প্রাথমিক, ৭২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৯টি ক্লাবে মোট ৪০০টি ফুটবল দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিলন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া ফুটবল দিয়ে খেলোয়াড়রা নিয়মিত খেলছে। এতে খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
উধুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের স্কুলেও ফুটবল দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এতে আনন্দ নিয়ে খেলছে।
সরকারি দপ্তরের সংস্কার:
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ কয়েকটি সরকারি দপ্তর সংস্কার করা হয়েছে। ফলে সেবা কার্যক্রম আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান আমাদের কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ছিল। এতে অফিসের কাজ করতে ভীষণ অসুবিধা হতো। এবার সংস্কারের পর অফিসে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করা যাচ্ছে। কৃষকদের সেবা দিতে সুবিধা হচ্ছে।
সব প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ নিয়মিত তদারকি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। তিনি বলেন, উল্লাপাড়ার মানুষ এখন উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে। আমরা জনস্বার্থ ও স্বচ্ছতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। অনিয়ম ছাড়াই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে।