সারাদেশ

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার অছি ক্লোজড!

  প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৬:৪৭:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজেস্ব প্রতিবেদক, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যা আইনের শাসন ও পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ উঠেছে, বাসা থেকে ওসির ৪ লক্ষ টাকা চুরি যাওয়ায় সন্দেহ করে উদ্ধারের জন্য নিজের ড্রাইভার ওয়াসিমের বাসা তছনছ করায় ড্রাইভার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করেন।

ভিডিও ভাইরাল ও সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ক্লোজড করা হলেও ওসির বাসায় ৪ লক্ষ টাকা এক সাথে এলো কোথা থেকে এই প্রশ্ন এখন জনমনে! এবং জানার অপেক্ষায় সকলেই।

এর কিছুদিন আগে- চুনারুঘাট থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের পর থানা হাজতে থাকা এক আসামিকে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন ওসি নুর আলম। অবাক করা বিষয় হলো টাকা দিতে না পরায় অন্য আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয় কিন্তু তার নামে কোনো মামলাই ছিল না।তবে নিষিদ্ধ সংগঠন “ছাত্রলীগ” এর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফুল মিয়া খন্দকার মায়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাটের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গত ২৩ মার্চ অভিযান চালিয়ে আটক করে থানা পুলিশ। ওই দুই নেতা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফুল মিয়া খন্দকার মায়া এবং আরেকজন চুনারুঘাট আহাম্মদাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম, পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকার ভাষ্য মতে পেশায় একজন মাদক ব্যবসায়ী।

কিন্তু আটকের পরই নাটকীয়ভাবে থানা হাজত থেকে দুজনের মধ্যে ওয়াহিদুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং মায়াকে জেলে প্রেরণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, থানার ওসি মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করে একজন প্রকৃত আসামিকে প্রকাশ্যে মুক্তি দিয়েছিলেন।

স্থানীয় জনগণ বলছেন, থানার ভেতরে এ ধরনের অর্থ-বাণিজ্য ও দায়-দায়িত্বহীনতার ঘটনা শুধু আইনের শাসনকে ব্যাহত করছে না, বরং পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এটি নিছক একটি প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এটা অবশ্যই তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত ছিলো।

চুনারুঘাটে এ ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। জনগণ চেয়েছিল, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আর না ঘটে।

চুনারুঘাট উপজেলার ৯ নং রাণীগাও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সালেহ মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের বড় ছেলে কামরুজ্জামান মাসুম জানান,

তিনি বিগত ২৩ শে জুলাই ২৫ ইং পুলিশ প্রধান আইজিপি মহোদরের বরাবরে তিনি অছি নুরুল আলমের বিরুদ্ধে ১ অভিযোগ দিয়েছেন যা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো,
নিম্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিগন যারা প্রত্যেকই বৈশ্যম্য বিরুধী আন্ধোলনের মামলার আসামীদের নিকট হতে অছি নুরু আলম প্রায় ৭০ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেন।তারা হলেন
যথাক্রমে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর এর নিকট হতে ২০ লাখ
অত্র উপজেলার ২ নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশের নিকট হতে ৫ লাখ
৩ নং দেওরগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিতুর রহমান রুমন এর নিকট হতে ৫ লাখ
৮ নং সাঁটিয়াজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দাল মিয়া এর নিকট হতে ৫ লাখ
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর এর নিকট হতে ২০ লাখ ৯ নং রাণীগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রিপন এর নিকট হতে ৫ লাখ,
১০ নং মিরাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক সরকার হতে ৫ লাখ
৮ নং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া উরপে বালু সেলিম এর নিকট হতে ২০ লাখ
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দাস এর নিকট হতে ৫ লাখ
সহ সর্বমোট ৭০ লাখ টাকা।তিনি ছাড়া ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায় ৯ নং রানীগাও ইউনিয়ন বিএনপিএর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন ও তার আপন ছোট ভাই নজরুল এবং ২ নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপিএর সভাপতি সালা উদ্দীন বাবরু সহ অসংখ্য দালালদের মাধ্যমে মাদক ও চোরা কারবারিদের মাসোয়ারা গ্রহন করতেন।
উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালে সুনামগঞ্জ শাল্লা থানায় ওসি নুর আলম থাকা অবস্থায় নারী সহকর্মীকে কুপ্রস্তাব *মাদক ও জুয়া থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা মাসোহারা *টাকা ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, এফআইআর কিছুই হতো না এজন্য গত (১২ আগস্ট ২০২১) তারিখের ৩৮৭/২০২১ নম্বর আদেশে ওসি মো. নুর আলমকে সেখান থেকে ক্লোজড করা হয়।

Author

আরও খবর

Sponsered content