প্রতিনিধি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৪:১৫:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য এ এস এম গোলাম হাফিজ। তিনি বলেন, “পরীক্ষা যেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য হল ও কেন্দ্রপ্রধান, আহ্বায়ক এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।”
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল ইসলাম ও সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খান।
বিপিএসসির আঞ্চলিক কার্যালয় ময়মনসিংহের উপপরিচালক কামরুন্নাহার শেফার সঞ্চালনায় শুরুতেই পরীক্ষা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন নিয়ে একটি তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। জানা যায়, ময়মনসিংহে মোট ২৮টি কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৩৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
সভায় সিভিল সার্জন জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন মেডিক্যাল অফিসার ও একজন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ সুপার বলেন, ১৯টি পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং যেকোনো জালিয়াতি প্রতিরোধে তারা তৎপর থাকবে। পাশাপাশি যানজট এড়াতে পরীক্ষার্থীদের যথাসময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম পরীক্ষাকালীন সময়ে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন। রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, প্রশাসন ও পুলিশ সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর।
বিপিএসসি সদস্য এ এস এম গোলাম হাফিজ আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে জালিয়াতির চেষ্টা রোধে সচেতন থাকতে হবে। পরীক্ষার হলে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস, স্মার্ট ঘড়ি, অলংকার, মোবাইল বা মানিব্যাগ আনা যাবে না। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ‘সাইলেন্ট এক্সপেল’সহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সমাপনী বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, “পিএসসির পরীক্ষা জাহাজের মতো, আর আপনারাই এর কান্ডারী। এ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বাছাই পরীক্ষার সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”