প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২৫ , ৭:০৭:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামাজ আদায়ের দীর্ঘদিনের সমস্যা অবশেষে সমাধান হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের উদ্যোগে ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন ভবনের দোতলায় নির্মিত হয়েছে এক মনোরম ও শান্ত পরিবেশসমৃদ্ধ পাঞ্জেগানা মসজিদ।
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ মসজিদের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম নিজেই।
দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসন ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নামাজ আদায়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে দোতলার সরু বারান্দায় নামাজ আদায় করতেন। এতে একসঙ্গে সবাই নামাজ পড়তে না পারায় ভোগান্তির সৃষ্টি হতো। বিষয়টি নজরে আসার পর জেলা প্রশাসক দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দোতলার ফাঁকা অংশে একটি পূর্ণাঙ্গ পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন।
পরিচ্ছন্ন টাইলস করা মেঝে, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, নিরাপদ ছাউনি এবং নামাজের সারি চিহ্নিত নকশা—সব মিলিয়ে মসজিদটি এখন এক প্রশান্তিময় ইবাদতের স্থান। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনিক ব্যস্ততার ফাঁকে এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নির্ভয়ে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন,
“আমরা প্রতিদিন জনগণের সেবায় কাজ করি। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টিই সেই কাজের মূল উদ্দেশ্য। তাই অফিসে কর্মব্যস্ততার মাঝেও যেন সবাই সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারেন, সেই সুযোগ সৃষ্টি করাই এই মসজিদ স্থাপনের মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন,
“এটি শুধু নামাজের জায়গা নয়, বরং আত্মশুদ্ধি ও সহকর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় করার একটি স্থান।”
অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, এ উদ্যোগে তারা অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। কেউ কেউ বলেন, আগে যেখানে নামাজ পড়তে অসুবিধা হতো, এখন সেখানে একটি পরিচ্ছন্ন, প্রশান্ত ও নিরাপদ জায়গায় নামাজ আদায় করা যাচ্ছে—এটি সত্যিই মানবিক ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ডিসি মুফিদুল আলম জেলা প্রশাসনে শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা, জনসেবা এবং অফিস পরিবেশ উন্নয়নে একাধিক ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছেন। পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণ তার মানবিক ও ধর্মপ্রাণ দৃষ্টিভঙ্গির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
নতুন এই মসজিদ এখন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের এক অনন্য সংযোজন—যা শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং নৈতিকতা, ঐক্য ও প্রশান্তির প্রতীক হয়ে থাকবে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনে।