মোমিন আলি লস্কর,জয়নগর: ২০২৬-এর ভোটের আগে মমতার মাস্টারস্ট্রোক গ্ৰামের ছোট সমস্যার সমাধানে এবার নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৬সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রামীণ এলাকার মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সংযোগ গড়ে তুলতেই এই ধরনের জনমুখী প্রকল্পের ওপর জোর দিচ্ছে তৃণমূল । সরাসরি মানুষের সমস্যার মাটিতে দাঁড়িয়ে তার সমাধান করা ।"দুয়ারে সরকারের পরে এবার 'আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান'।প্রতিটি নির্বাচনের আগেই কোনও না কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও ‘দিদিকে বলো’, কখনও ‘দুয়ারে সরকার’, কখনও ‘লক্ষ্মীর আওতায় নিয়ে আসাই সরকারের লক্ষ্য।ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে রাজ্যের সমস্ত বুথের মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে চাইছেন মমতা। অতীতের তিন বিধানসভা নির্বাচনে গ্রামবাংলা থেকে ভরপুর ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। ’২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই পদক্ষেপ মমতার ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক দিকে যেমন স্থানীয় সমস্যাগুলির সমাধান সম্ভব, অন্য দিকে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসও প্রকল্পের কথা সামনে রেখে তৃণমূল স্তরে গিয়ে জনসংযোগ করতে পারবে। যার ফল দেখা যেতে পারে ভোটব্যাঙ্ক।
বারুইপুর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসাধারণ মানুষের কথা ভেবে তিনি এই প্রকল্পটি করছেন কিন্তু তিনি সর্বপ্রথম তিনটি বুথের রেজিস্ট্রেশন খাতা দেখে দলের নেতৃত্বে দের বলেন একটি বুথে মাত্র কুড়ি বাইশ জন,নাম লেখা কেন? তিনি নেতৃত্বেদের উপর জোর দিয়ে বলেন কমপক্ষে ৫০জন মানুষ জন নাম লেখা দেখতে পেলাম না । তাহলে কি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেনে ।আমি সমস্ত অঞ্চলের ঘুরে দেখেছি এই তিন টি বুথের মত এত কম লোক দেখেনি ।তাই তিনি নেতৃত্বেদের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় জানায় ক্যাম্পের আগের দিন ঐ পাড়ার সকল লোক জনকে নিয়ে একটি বৈঠক করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন।কারণ গ্ৰাম গঞ্জে আমরা দেখছি ছোট ছোট কাজ গুলো বেশিরভাগ বাদ পড়ে গেছে।তাই তিনি চিন্তা করেছেন কিভাবে এই ছোট্ট ছোট্ট কাজ গুলো করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ সিদ্ধান্ত নেয় তিনি আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান একটি প্রকল্পের ব্যাস্থয়নের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করবেন। তিনি প্রতিটি বুথে ১০লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন। তিনি বলেন ভারতবর্ষের এমন কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইরকম প্রোগ্রাম করতে পারেনি এবং পরে কোন মুখ্যমন্ত্রী পারবে বলে আমি মনে করি না।এটা একটা ঐতিহাসিক বিষয় হয়ে থাকলো। তিনি পরিষ্কার ভাবে অঞ্চলের সদস্য ও সদস্যা এবং প্রধান, উপপ্রধান বুঝিয়ে দিল এই প্রোগ্রামটি যে কাজ গুলি হবে তার সমাধান করবেন পাড়ার সাধারণ মানুষ জন। এখানে কোন সদস্য, প্রধান, উপপ্রধান, এমনকি বিধায়কের কোন ক্ষমতা নেই ।কেবল মাত্র পাড়ার মানুষের ক্ষমতা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সমাধানে জন্য। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসংযোগ এবং প্রশাসনিক কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চলা ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪পরগনার জেলার জয়নগর এক নম্বর ব্লকের বামনগাছি অঞ্চলের দলুয়াখাকী গ্ৰামের দলুয়াখাকী বামনগাছি প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ২২৪ '২২৫,২২৯ নম্বর বুথে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্প পরিদর্শনে করলেন বারুইপুর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী ও বারুইপুর পূর্বের বিধান সভার তৃনমূল কংগ্রেসের কৃষক ও ক্ষেত মজদুর সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হামিদ মোল্লা,খাকুরদহ অঞ্চলের উপপ্রধান ফারুক হোসেন হালদার,বামনগাছি অঞ্চলের যুব কার্যকারী সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন মিস্ত্রী (লাল্টদা)।জয়নগর এক নম্বর ব্লকের জয়েন বিডিও নিমাই বিশ্বাস,
বামনগাছি অঞ্চলে প্রধান সাহেবা সেরিফা বিবি লস্কর,এই অঞ্চলের প্রাক্তন উপপ্রধান ,পঞ্চায়েতের আধিকারিকগন সহ অঞ্চলের সমস্ত সদস্য সদস্যারা। মুন্না,একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ।
এদিন সকাল থেকেই মানুষ ভিড় করে এসেছেন ক্যাম্পগুলোতে। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
অন্যদিকে দলুয়াখাকী ২২৫বুথের সদস্য মোরছেলিয লস্করের নেতৃত্বে সুধাংশু মন্ডল একজন এল সি এম হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু ঘোষণা করেছেন আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। কিন্তু এই প্রোগ্রামের কিছু টা কার্যকারীতা করতে চেয়েছিলেন ২২৫নম্বর বুথের এল সি এম শুধাংশু মন্ডল।২২৫নম্বর বুথের এল সি এম ,তানার রেজিস্ট্রেশন খাতায় লিপি বদ্ধ নাম ধরে প্রথম থেকে ডাকা শুরু করেন।তিনি তানার পাড়ার কিছু লোক জনের নাম ডাকেন কাজের বিষয়ে সরকারী কর্মচারীর সামনে প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি মাঝখানে ও প্রথম কিছু নাম বাদ দিয়ে অপরদিকে সদস্য মোরছেলিম লস্করের পাড়ার মানুষের কিছু নাম ডাকতে শুরু করেন এবং তাদের কাজের প্রস্তাব পেশ করতে গেলে এক জন স্থানীয় বাসিন্দার তার এই কুকাজের জন্য প্রতিবাদ করেন।এরফলে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান কাজ করতে কিছু টা কাজের সমস্য মুখে পড়তে হয় সরকারীর আধিকারিকের। বামনগাছি অঞ্চলের তৃনমূল কংগ্রেসের যুব কার্যকারী সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন মিস্ত্রী (লাল্টদা)এই বিষয় সমস্যা সমাধান করেন।স্থানীয় ব্যাক্তির বক্তব্য হল যেহেতু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবলমাত্র পাড়ার জনসাধারণ মানুষের কথা ভেবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান।তথাপি কেন বুথের এল সি এম কার ক্ষমতায় এই রকম দুর্ব্যবহার করছে তার জবাব চায় ২২৫ বুথের স্থানীয় বাসিন্দর। তাহলে কি এই প্রকল্পের নামটি আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান না রেখে বলা যায় আমাদের পাড়া আমাদের এলসিএম এর তত্ত্বাবধানে সমাধান।এই বিষয় জবাবের অপেক্ষায় রইলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে ২২৫নম্বর বুথের সাধারণ মানুষ ও বাংলার মানুষ