প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২৫ , ১২:৫৮:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ,(নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার শিবনগর কান্দাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গোপনে ও বিধিবহির্ভূতভাবে গঠনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মোঃ রাসেল মিয়া নামে এক অভিভাবক বোর্ডের ই-ফাইল (নং ২৩৩২৫১১৩০১৪১)-এর মাধ্যমে অভিযোগ করেন যে, মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি জালজালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ছালেহ আহমদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-কে ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, তদন্তে অভিযোগকৃত কমিটি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই চিঠির অনুলিপি জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতেও পাঠানো হয়েছে।
বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার খলিলুল্লাহ ও সভাপতি যোগসাজশে গোপনে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে অবৈধভাবে কমিটি গঠন করেছেন।
বিধি অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকা শ্রেণিকক্ষে পড়ে শোনানো হয়নি, নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়নি এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের অবহিত করা হয়নি।
ফলে অধিকাংশ অভিভাবক কমিটি গঠনের বিষয়টি জানতেন না।
মনোনয়নপত্রও গোপনে নিজস্ব লোকদের মধ্যে বিক্রি করা হয় এবং কোনো প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিভাবকদের ক্ষোভ:
একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন,
> “আমরা জানিই না কবে, কীভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের না জানিয়ে কমিটি করা হয়েছে—আমরা এ কমিটি বাতিল চাই।”
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, এ ঘটনায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারা দ্রুত স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য :
মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গিয়ে প্রধান শিক্ষক খলিলুল্লাহকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
> “আমি নিয়ম অনুযায়ী কমিটি করেছি। অভিযোগ এসেছে, বোর্ড খোঁজ নিচ্ছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় যা হওয়ার, তাই হবে।”