হাসান মাহমুদ, সাভার : গাজীপুর ও সাভারে সাম্প্রতিক দুই ধর্ষণ ঘটনার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অপরাধের পরপরই স্থানীয়রা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা আশা করলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ নীরবতা।
সাভারে এক তরুণীকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের তিন যুবক দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর মামলা হলেও পুলিশি তৎপরতা সীমিত পর্যায়ে রয়ে গেছে। অন্যদিকে, গাজীপুরের ঘটনায়ও একই চিত্র—ভুক্তভোগীর পরিবার এখনো পাচ্ছে না কোনো ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা।
প্রশাসনের উদাসীনতা
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এসব ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও থানার ভূমিকা ছিল ‘দৃষ্টিকটু নীরব’। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব, সামাজিক চাপ ও প্রভাবশালীদের ছায়া তদন্তে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর ফলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
গণমাধ্যমের ভূমিকা কোথায়?
প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো আলোচনায় না যাওয়ায় সমালোচনা উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—“যখন তারকা বা আলোচিত অপ্রাসঙ্গিক মিজানের হটেল কেকপট্টির কেক ডেন্সার বাবু, হিরো আলম, কার বয় কার কাছে, কে কয়টা বিয়ে করে, কে অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করে তখনই বড় সংবাদ হয় কেন?”
স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ করছেন, মাঠ থেকে তারা তথ্য পাঠালেও জাতীয় পর্যায়ের সংবাদমাধ্যমে সেগুলো ‘অগ্রাধিকার’ পাচ্ছে না।
জনমনে এখন প্রশ্ন একটাই—ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধেও যদি প্রশাসন ও গণমাধ্যম নীরব থাকে, তবে সাধারণ মানুষের আশ্রয় কোথায়?
ধর্ষণ শুধুমাত্র কোনো ব্যক্তির উপর সহিংসতা নয়; এটি সমাজের নৈতিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতার চূড়ান্ত পরীক্ষা। প্রশাসনের তৎপরতা ও গণমাধ্যমের সাহসী ভূমিকা না থাকলে এ ধরনের অপরাধ কখনোই কমবে না, বরং আরও বাড়বে।