সারাদেশ

শেখ হাসিনার মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল

  প্রতিনিধি ২৯ অক্টোবর ২০২৫ , ৪:৪০:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

শেখ হাসিনার মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল

গত বছরের ০৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি মারা গেছেন দাবিতে এনডিটিভি, প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা, আনন্দবাজার পত্রিকা এর ফেসবুক পেজে প্রচারিত সংবাদ পোস্টের আদলের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্প্রতি একটি ছবি ব্যাপক হারে ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে তীব্র বিভ্রান্তি এবং আলোচনার সৃষ্টি হয়। ছবিটি বাংলাদেশের পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বা বিরল মুহূর্তের ছবি হিসেবে দাবি করা হচ্ছিল এবং এটি হাজার হাজার বার শেয়ার হয়। এর ফলে অনলাইনে নানা ধরনের গুজব ও বিতর্ক তৈরি হয়। এ নিয়ে রিউমার স্ক্যানার ফ্যাক্টচেক করেছে।

ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ৮ মার্চ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উক্ত ছবির মত একটি ছবি পাওয়া যায়। সেখানে শেখ হাসিনা নয় বরং, ভিন্ন এক নারীকে দেখতে পাওয়া যায়। এই নারীর মুখের শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করে বিকৃত করা হয়েছে।

এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ৮২ বছর বয়সী এই নারীর হাঁটতে সমস্যা থাকায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে হুইলচেয়ারের জন্য বুকিং দেওয়া ছিল। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে তার জন্য হুইলচেয়ার সরবরাহ না করার কারণে তাকে টার্মিনালে পৌঁছানোর জন্য বেশ কিছুটা পথ হেঁটে যেতে হয়েছিল। এর ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং তাকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী হওয়ার কারণে এই ঘটনার পরে এয়ারলাইন্সটি বিতর্কের মুখে পড়ে।

পরবর্তীতে, হিন্দুস্তান টাইমসের প্রকাশিত আরেকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আলোচিত এই নারীর নাম রাজ পাসরিচা যিনি ভারতীয় এক সেনা কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী। ৪ মার্চ এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন রাজ পাসরিচা। তিনি একটি হুইলচেয়ার আগে থেকে বুক করেছিলেন, যা এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। কিন্তু পরিবার বিমানবন্দরে পৌঁছালে, এয়ার ইন্ডিয়া অনুরোধকৃত হুইলচেয়ারটি সরবরাহ করেনি। এই তথ্যের সোর্স হিসেবে তার নাতনি পারুল কানওয়ারের এক্স-এ করা একটি পোস্টকে ব্যবহার করা হয়।

বিজ্ঞাপনঃ  সাংবাদিকদের পাশে সাওপ

এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইকোনমিক টাইমস এবং এ বি পি লাইভ-এ একই ঘটনা সম্পর্কিত রিপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় চলতি বছরের ১২ মে।

দেখা যাচ্ছে যে, রাজ পাসরিচার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনেক পরে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ভিন্ন এক নারীর স্থানে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে বিকৃত করা হয়েছে। অন্যদিকে মূলধারার কোনো সংবাদ মাধ্যমেও শেখ হাসিনার মৃত্যু সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তাই, উপরের উল্লেখিত প্রমাণের ভিত্তিতে ভাইরাল হওয়া ছবিটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিকৃত” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।

Author

আরও খবর

Sponsered content