জনপ্রিয় - নিউজ

ত্রিশালের রাজনীতিতে লুঙ্গির সমাচার – সম্পাদক ফাহাদ ।

  প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২৫ , ৩:২৪:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মুক্তকথন ডেস্ক :   রাজনিতলুঙ্গির ব্যবহার আবহমান বাংলায় দেশ স্বাধীন হওয়ার সেই আগে থেকেই চলমান আছে। লুঙ্গি বাংলাদেশের জাতীয় পোষাক না হলেও বাংলাদেশ সহ আশেপাশের ভূখন্ডে বহুল ব্যাবহৃত একটি ক্যাজুয়াল পোষাক। যদিও কালের বিবর্তনে সমাজের একটা শ্রেণী বাদে এখন আর এ পোষাক তেমনটা ব্যবহৃত হচ্ছে না।বর্তমানে গ্রামের দিনমজুর রাও লুঙ্গি বাদে সর্টস বা ট্রাউজার পরে কাজ করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে।তবে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নির্বাচনে অংশ গ্রহনে আগ্রহী ও পূর্বে একাধিক বার প্রত্যাখ্যাত অনেক কেই নিজেদের তৃর্ণমুলের একজন প্রমানিত করতে লুঙ্গি কালচারে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার হাস্যকর প্রয়াশ চালাচ্ছেন।লুঙ্গি সব সময় না পড়লেও রাতে ঘুমাতে কিন্তু অধিকাংশ পুরুষই এই পোষাক প্রিফার করে ,আর যে গরম পড়েছে তাতে লুঙ্গি নিঃসন্দেহে একটি আরাম দায়ক পোষাক বটে।তবে সমস্যা হচ্ছে আপনি নিয়মিত লুংগি পরিধান না করে হঠাৎ লুঙ্গিতে জনসম্মুখে আসলে তা নিয়ে আলোচনার জন্ম হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে লুঙ্গি সামালের বিষয়টাও রপ্ত করতে হবে নইলে লিঙ্গ এক্সপোজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অবশ্য এটা নিতান্তই লোক দেখানো হলে অবশ্যই অন্তর্বাস পরিধান করা উচিত বলাতো যায়না…

এবার আসা যাক আমাদের রাজনীতিতে লুঙ্গি পড়ে কারা রাজনীতি করেছেন , মাওলানা ভাষানী যিনি লুঙ্গি প্রিফার করতেন, শেখ মুজিবুর রহমান নিজের বাড়িতে ছাড়া লুঙ্গি পড়েছেন এমন নজীর পাওয়া যায়না, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কখনোই লুঙ্গি পরিধান করেছেন এমন নজীর নেই অথচ বাংলাদেশে তার চেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা আর কোন রাষ্ট্র নায়ক অর্জন করতে পারেন নি। জনগনের জন্য কাজ করতে লুঙ্গি পড়তে হয়না কিন্তু জনগনকে আপন করে নিতে লুঙ্গি পড়তে হয়। তাদের জন্য কাজ করতে হয় যাতে তারা নেতাকে নিজেদের একজন ভাবতে পারেন। হঠাৎ লুঙ্গি পড়ে আর যাই হোক নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে না বরং প্রার্থী নিজেকে হিপোক্রেট হিসেবে তুলে ধরবেন আর জনতা তা নিয়ে হাসি তামাসা করবে বৈ কি। ইতিহাসের রাজা – বাদশা, জমিদার এবং রশিদ চেয়ারম্যান,সেকেন্দার আলী চেয়ারম্যান সহ আগে পরের চেয়ারম্যানরাও লুঙ্গি পড়ে রাজনৈতিক কাযক্রম পরিচালনা করতে পছন্দ করতেন। 

ত্রিশালের রাজনীতিতে নির্বাচিত নেতারা লুঙ্গি পরিধান করতেন , কারণ তারা ছিলেন এই এলাকার সন্তান আর তারা লুঙ্গিতেই প্রসংগিক ছিলেন। তবে লুঙ্গি পড়তেন না বলে কিন্তু এডভোকেট আবুল মনসুর সাহেব কে ত্রিশাল বাসী ছুড়ে ফেলে দেননি , তাকেও নির্বাচিত করেছিলেন।
আব্দুস সালাম তালুকদার , আনিসুর রহমান মানিক, আব্দুর রশিদ সাহেব , আবদুল খালেক সাহেবরা তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন কিন্তু রাজনৈতিক কোন প্রোগ্রামে লুঙ্গিতে দেখা যায়নি তাদের। এমন কি ভুতের ভোটে নির্বাচিত দাবী দার মাওলানা ও ডামি নির্বাচনের এম পি কেও লুঙ্গি বিলাস করতে দেখা যায়নি। অন্দর মহলে লুঙ্গি মানায় তবে তাকে ভরসা করে নির্বাচনের বৈতরণী কি পাড় হওয়া যাবে?

সবকিছু নিয়ে যেমন রাজনীতি করা সমিচীন না। ঠিক তেমনি যার তার পরমর্শ নিয়ে সৎ সাজাও ঠিক না। ত্রিশাল থেকে নির্বাচিত হতে হলে ত্রিশাইল্যা হতে হবে আর না হলে দলীয় প্রার্থী হতে হবে এটাই ছিলো ত্রিশালের পারসেপসন (রেজা আলী নির্বাচিত হওয়া) যা নৌকা ওয়ালারাই নস্যাত করেছে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে।আর ত্রিশাইল্যা হতে হলে ভুয়া চান তারার পরামর্শে না চলে ত্রিশাল বাসীর পাল্স বুঝতে হবে।আর তা প্রথমে না বুজলে সং সেজেও তা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

~প্রতিবেদনের সত্যাধিকারী সম্পাদক দৈনিক মুক্তকথন নিউজ।

Authors

  • প্রকাশক ও সম্পাদক

    আমার নামে কোনো অভিযোগ থাকলে এই ঠিকানায় (muktakathan247@gmail.com) অথবা 01307006206, 09638262545 এই নম্বরে যোগাযোগ করে আপনারা প্রমাণ সহ পাঠাতে পারেন। আমার পত্রিকা অফিস আমার অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্তা নিতে পারবেন আমার অপরাধের বিষয়ে।

    View all posts
  • আমার নামে কোনো অভিযোগ থাকলে এই ঠিকানায় (muktakathan247@gmail.com) অথবা 01307006206, 09638262545 এই নম্বরে যোগাযোগ করে আপনারা প্রমাণ সহ পাঠাতে পারেন। আমার পত্রিকা অফিস আমার অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্তা নিতে পারবেন আমার অপরাধের বিষয়ে।

    View all posts

আরও খবর

Sponsered content