গোকুল চন্দ্র রায়, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ ১৯ নভেম্বর বুধবার বীরগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে দিনাজপুর-১ আসন সহ দেশবাসীকে অবগত করা হয় উপজেলা বিএনপির সন্মানিত সভাপতি, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সমাগত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের ঘোষনাকৃত প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু’র বিরুদ্ধে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন ধলু’র নেতৃত্বে একটি পক্ষের গুটি কয়েক লোক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং গত ১৭ নভেম্বর ভুয়া, ভিত্তিহীন ও ব্যক্তি আক্রোশ মুলক তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করে ধানের শীষ প্রতীকের ঘোষনাকৃত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রতিপক্ষ জামায়াত প্রার্থীকে জিতানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
জামায়াত প্রার্থীর সাথে তার যে সখ্যতা রয়েছে তার অনেক প্রমান ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে রয়েছে। যাহা ইতোমধ্যে আমারাও দেখেছি। সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু মনোনয়ন ঘোষনার পূর্বে বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দিয়েছিলেন- ”ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ যেই পাক আমি তার সঙ্গেই দলের হয়ে কাজ করবো”।
কিন্তু মোঃ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু প্রতীক বরাদ্দের পরে জাকির হোসেন ধলু ও তার সমর্থক গোষ্টিরা অপপ্রচার চালিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে প্রার্থীকে হেয় প্রতিপন্ন এবং দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশকে বিভ্রান্তমূলক বলে জনগনের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কাজে লিপ্ত হয়েছেন।
এতে করে বিএনপির প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে গুরুত্বপূর্ন করে তুলেছে। যা দলের জন্য ক্ষতিকারক।
অথচ ইংরেজি ২০০৯ সাল হতে মোঃ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় নেতা-কর্মীর বিপদে-আপদে পাশে আছেন।
নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাদের পাশে থেকে তাদের ও পরিবার গুলিকে সহযোগিতা করেছেন এবং বর্তমানেও করে যাচ্ছেন।
পক্ষান্তরে জাকির হোসেন ধলু বলে বেড়াচ্ছেন, মনঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু আন্দোলন সংগ্রামে ছিলো না। একজন সাধারন সম্পাদকের এহেন মিথ্যাচার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল।
অথচ মঞ্জু সাহেব বীরগঞ্জে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
যার অনেক প্রমান বর্তমানে মিডিয়ায় পাওয়া যায়।
মনঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু সাহেব সভাপতি হওয়ার পর হতে প্রতি বছর ব্যক্তিগত অর্থায়নে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কনকনে শীতে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, দিয়েছেন কম্বল ও শীতবস্ত্র।
ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ যাবত ৩০০ টি দুস্থ পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মান পুর্বক সপরিবারে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন।
বন্যায় টিন, পিলার, খাদ্য-বস্ত্র সহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। করোনাকালীন সময়ে দিয়েছেন বিভিন্ন অনুদান ও চিকিৎসা সামগ্রী।
মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের দিচ্ছেন বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা। তিনি আল্লামা সাইদি সাহেবের রায়ের দিন উত্তর গড়েয়ায় সংঘর্ষপ ও গোলাগুলিতে মৃত নিরঞ্জন রায়ের পিতাকে কর্মসংস্থানের জন্য ভ্যান গাড়ীসহ বেশকিছু অভাবী মানুষকে ভ্যান গাড়ী ও দোকান ঘর বানিয়ে দিয়েছেন।
যা বীরগঞ্জ-কাহারোলে অন্য কোন রাজনৈতিক নেতার পক্ষে এখন পযর্ন্ত সম্ভব হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দাবী করেন, জনাব মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু ছাড়া বীরগঞ্জ-কাহারোলে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার জন্য আর যোগ্য কোনো প্রার্থী নেই এবং আমরা নিশ্চিত, মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু’র মাধ্যমে ধানের শীষকে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে প্রথমবারের মতো এই আসনটি উপহার দিতে পারবেন।
বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও বহিস্কার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দলের প্রান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে জোর দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক, বীরগঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতি, হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ও সাবেক ভিপি জননেতা মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাহারোল উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বাদশা, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শামীম ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য বাবু সুভাস দাস, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ফজলে আলম শাহিন, জেলা সদস্য ও বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম মাজু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত জুলিয়াস জুয়েল, জেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহব্বায়ক লাইসুর রহমান লিপু, বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজুল করিম তাজু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আলহাজ্ব তানভীর আহম্মেদ চৌধুরী, নেতা আব্দুল জব্বার, উপজেলা মহিলা দল সভানেত্রী মাহফুজা বেগম, সাধারণ সম্পদক ইউপি সদস্য আঞ্জুআরা বেগম, বীরগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নমিরুল ইসলাম চৌধুরী সেনা, পৌর মহিলা দল সভানেত্রী সাবেক কাউন্সিলর সাবিনা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলার রহিমা বেগম, ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ আকাশ চৌধুরীসহ অনেকে।