অনুসন্ধান

নতুন করে উন্মোচিত হচ্ছে হনুফা মামলার রহস্য।শুধু সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য খুন করা হয় নিরীহ প্রতিবন্ধী হনুফা কে

  প্রতিনিধি ২৭ নভেম্বর ২০২৫ , ৬:৩৯:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফঃ ১২ এপ্রিল ২০২৩ প্রতিবন্ধী হনুফাকে আপন ভাই মোহাম্মদ আলী পাঁচু,ফারজানা, ফাহাদ, রাসেল, জয়নাল বোন জালেমা, লতুফা ও অজুফা, ছেলেরা কামাল,কামালের ২য় স্ত্রী মামুন, আবুল কালাম,অজ স্বামী আলাউদ্দিন সহ আত্মীয়-স্বজন ও কিছু ভূমিদস্যুর পরামর্শে মিলে পবিত্র ২০ রমজানে তারাবি নামাজ পড়া অবস্থায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে হনুফকে। যার মামলার নং ৪৪ (৪)২৩ পেনাল কোড ৩০২/৩৪,সাভার থানা, হত্যা করার পর তার স্বামী হারুন অর রশিদ তুষারকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান খনির একটি শার্টের বোতাম এর সূত্রপাত ধরে খুনি হাতেনাতে ধরা পড়ে বাহিনীর হাতে এবং তাৎক্ষণিকভাবে মোহাম্মদ আলী পাস ও খুনের দায় স্বীকার করে।এবং বর্তমানে প্রধান আসামি ১৬৪ ধারা স্বীকারউক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়ে জেল হাযতে, বাকি খুনিরা বিভিন্ন ভূমি দসুদের সহায়তায় টাকা পয়সার বিনিময়ে আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। অনুফাকে খুন করার পরও খুনিরা ক্ষান্ত হয়নি, সম্পত্তি যাতে তার স্বামী না পায় সেই জন্য তারা একবার বলে বিয়ে করে নাই, আবার যখন কাবিননামা দেওয়া হয় মামলার তদন্ত্য কারিআইয়ূ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে, তখন তারা আবার নতুন করে হনুফা মৃত্যুর প্রায় ছয় মাস পূর্বে ব্যাকডেটে অবৈধ ডিভোর্স নামা তৈরি করে, যাহাতে কাজীর স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীতে পরিষ্কার হয়ে উঠে আসে যে অন্য মহিলাকে হনুফা সাজিয়ে ডিভোর্সি করানো হয়েছিল।

 

যার মামলার তদন্তকারী আয়ু পিবিআই কর্তৃক চার্জশিটে কাজীর সাক্ষী নিয়ে,কাজীর প্রতিবেদন চার্জশিট করে কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে, যাতে কাজী সাদেক উল্লাহ ভূঁইয়া স্বাক্ষ্য প্রদান করেন যে কামাল গং সহ মহিলা আসছিল এসে একজন হনুফা পরিচয় দিয়ে ডিভোর্স করানো হয়েছিল।এবং কামাল বন্ধুদের সাথে যে মহিলা দুইজন আসলো তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক, অথচ হনুফা ছিল এখন প্রতিবন্ধী নারী, সুতরাং এই ডিভোর্সটি সম্পূর্ণ ভুয়া অবৈধ বলে চার্সিটে উল্লেখ করা হয়। এতকিছুর পরও বাকী খুনিরা ক্ষান্ত হয়নি। তারা হনুফর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে হনুফার স্বামীকে বাদ দিয়ে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরি করে যা ইউনিয়ন পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান বাতিল করে দেন, অতঃপর এসিল্যান্ড বা ভূমি অফিসে হনুফার পৈত্রিক ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিয়ে হনুফার নামের জায়গা টাকা পয়সার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে খারিজ করে নিয়ে যায় খুনিরা।অথচ সেই ওয়ারিশ সার্টিফিকেট হনুফ এখনো জীবিত, এ থেকেও প্রমাণিত হয় যে খুনিরা সম্পত্তির জন্য যে কোন অসুখ উপায় অবলম্বন করতে পারে। অপরদিকে আসামিকে জেল হাযত থেকে ছুটানোর জন্য এই হনুফার খুনিরা বাদী হারুন অর রশিদ তুষারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা ও খুন বা যে কোন ক্ষতি সাধন

করার ভয় ভিতি প্রদর্শন করে আসতেছে। হনুফার স্বামী খুনিদের ভয়ে তার বাড়িতে যেতে পারতেছে না। উল্লেখ্য যে অদ্য ২৬ নভেম্বর রোজ বুধবার ২০২৫ খুনিরা হনুকার খারিজকৃত জমির গাছ কেটে বিক্রি করে,যার খবর পেয়ে মৃত হনুফার স্বামী সাভার থানাধীন বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে বা জানালে বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বগত এসআই ওহাব কে জানালে,তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এ,এস,আই জাকারিয়াকে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করতে বলেন, এ সময় খুনি কাদির ও কামালগংরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এলাকাবাসী সহ সবার কাছে মৃত হনুফার স্বামী নিরীহ প্রতিবন্ধী হনুকা হত্যার ন্যায়বিচার যাতে পেতে পারে এবং হনুফার তার স্বামী হারুন অর রশিদ তুষার যাতে কোনভাবে হনুফার বৈধ ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সবার কাছে বিনীত আহ্বান জানিয়েছেন।

Author

  • আমার নামে কোনো অভিযোগ থাকলে এই ঠিকানায় (muktakathan247@gmail.com) অথবা 01307006206, 09638262545 এই নম্বরে যোগাযোগ করে আপনারা প্রমাণ সহ পাঠাতে পারেন। আমার পত্রিকা অফিস আমার অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্তা নিতে পারবেন আমার অপরাধের বিষয়ে।

    View all posts

আরও খবর

Sponsered content