প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৩:২৪:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর মোহনপুরে পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় ভেকুর নিচে ফেলে জুবায়ের (২৫) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের বড় পালশা গ্রামের বিলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত জুবায়ের ওই গ্রামের রফিজের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড় পালশা গ্রামের আব্দুল মজিদ ওরফে মন্জিলের ছেলে আনিসুজ্জামান রহমান বকুল, মুনতাজ হাজির ছেলে রুহুল ও রুবেলের নেতৃত্বে পুকুর খননের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ চলছিল। এসময় কৃষিজমি রক্ষায় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা ভেকু চালককে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ওদের পিষে দে।” এরপর ভেকুর নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন জুবায়ের। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, এ ঘটনায় ভীমনগর গ্রামের বকুল, রুহুল ও রুবেলসহ কয়েকজন সরাসরি জড়িত। পুকুরটি খনন করছিলেন মোহনপুর উপজেলার প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যাক্তি। তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তায় সেসব প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ করেনি নিহতের পরিবার।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, নিহতের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে জুবায়েরের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহিমা বিনতে আখতার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈনুদ্দীন ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
ইউএনও ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত ভেকু ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”ওসি মঈনুদ্দীন জানান, “নিহতের পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনার চেষ্টা চলছে। আটক ভেকু চালকের নাম মো. আব্দুল হামিদ (২৮)।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবার দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

















