প্রতিনিধি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৫:৩০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই বাজার এলাকায় দুর্নীতির একটি অভিযোগ তদন্তে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় হাতাহাতির ঘটনায় আহত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গড়াডোবা ইউনিয়নের একটি অভিযোগের তদন্তে যান নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার ও ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার। তদন্ত চলাকালে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় শিক্ষক হালিম মাষ্টার ও সাংবাদিক মহিউদ্দিনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিন হালিম মাষ্টারের বুকে কিল-ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে হালিম মাষ্টার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ঘটনাটি উপস্থিত জনতার মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে এবং তারা সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে গণপিটুনির চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার নিজে এগিয়ে গিয়ে তাকে রক্ষা করেন। এ সময় তিনি ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে আঘাত পেয়ে মচকে যান।
ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন,
> “চিৎকার শুনে এডিএম স্যারসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করি। এ সময় হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে আঘাত পাই। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”
হালিম মাষ্টার জানান,
> “আমি মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞেস করি, ভাই আপনি মিথ্যা নিউজ করেছেন শুনেছি। এতেই সে আমার ওপর চড়াও হয় ও আমাকে কিল ঘুষি মারে।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি সামাল দেন এবং সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে মাথার সিটি স্ক্যান করাতে তিনি ময়মনসিংহে গেছেন।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাজহারুল আমিন বলেন,
> “ইউএনও স্যারের ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুল মচকে গেছে। সাময়িক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।