প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৪:৪৫:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মানব পাচারের অভিযোগে এক চীনা নাগরিকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজন ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর গার্মেন্টস কর্মী আলফা আক্তার (১৮), পিতা—রুবেল মিয়া, গ্রাম—কমলপুর, কেন্দুয়া পৌরসভা-কে বিয়ে করেন চীনা নাগরিক লি ওয়েই হাও (LI WEI HAO)। তিনি আলফাকে বিয়ে করার পর আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তাকে নিয়ে চীনে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ জন্য কনের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার মৌখিক আশ্বাসও দেন তিনি।
এরই অংশ হিসেবে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলফা আক্তার তার চীনা স্বামীকে পরিবারের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য নিজ বাড়িতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন সন্দেহভাজন দালাল ফরিদুল ইসলাম ও আরও দুইজন তরুণী। তাদের মধ্যে জামালপুর জেলার এক তরুণী বৃষ্টি সম্প্রতি আরেক চীনা নাগরিককে বিয়ে করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আলফা আক্তারের পরিবারের সদস্যরা ওই চীনা নাগরিকের কাছে পাসপোর্ট ও বাংলাদেশে অবস্থানকালে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন। একইভাবে ফরিদুল ইসলামও কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্র বা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এতে পরিবারের সন্দেহ হলে তারা স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চীনা নাগরিক লি ওয়েই হাও এবং তার বাংলাদেশি সহযোগী ফরিদুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানায়, তাদের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় মানব পাচারের সম্ভাব্য ঘটনার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। তিনজন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”