শিক্ষা ও ক্যাম্পাস

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক ও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

  প্রতিনিধি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩:১১:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ১৯ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সংশ্লিষ্ট কমিটির পক্ষ থেকে এ নোটিশ প্রদান করা হয়। তাদেরকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সমন্বয়ে তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত কমিটি, একাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত কমিটি এবং ক্যাম্পাসে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার তথ্য যাচাইবাছাই কমিটি। এসব কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বে আছেন সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান, জাকির হোসেন খান ও অধ্যাপক আকতার হোসেন মজুমদার।

এই কমিটিগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ১৯ শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে তাদের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে।

শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন— ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মুনফিজুর রহমান (হিরক মুশফিক), সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবীর, ড. মুশাররাত শবনম, সহকারী অধ্যাপক নুসরাত শারমিন তানিয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নগরবাসী বর্মণ (পার্থ) ও মাসুম হালদার, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. তারিকুল ইসলাম, প্রভাষক মো. তরিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার, এইচআরএম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোল্লা আমিনুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক অন্তরা মাহবুব, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাবুদ্দীন ও ড. মো. মাহবুব হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা খানম এবং ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তুহিন অবন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Authors

আরও খবর

Sponsered content