প্রতিনিধি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৫:৪৬:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মোশাররফ হোসাইন, ছাতক, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে আদালত কর্তৃক জারি করা ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি প্রভাবশালী মহল প্রকাশ্যে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পেয়েও তারা নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন। এ কারণে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন একটি পক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের গড়গাঁও গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মাহমুদপুর মৌজার জেএল নং-২৬৩, খতিয়ান নং-১১১, দাগ নং-৭২৫ এর অধীনে প্রায় সাড়ে ৩১ শতক জমির মালিক গড়গাঁও গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে মো. শফিক মিয়া, তার ভাই রফিক মিয়া ও মাসুক মিয়া। জমির একাংশ দিয়ে তাদের বসতবাড়ির ৮টি পরিবারের যাতায়াতের রয়েছে রাস্তা।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দখলের উদ্দেশ্যে যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন একই গ্রামের আশিকুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান ও হাসানুর রহমান (পুষ্প) নেতৃত্বাধীন একটি প্রভাবশালী চক্র। এ বিষয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিবিধ মোকদ্দমা নং-৬৫৮/২৫ দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালত ওইদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় ১৮৯৪ নং স্মারকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। ১৭ সেপ্টেম্বর ছাতক থানার এসআই মহিউদ্দিন উভয় পক্ষকে আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পৌঁছে দেন।
তবে অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ নোটিশ দেওয়ার পরও প্রতিপক্ষরা আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ৩দিন ধরে রাস্তায় গেট ও দেয়াল প্রাচীর নির্মাণ করছে। এছাড়া জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে দূর্বল করতে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ ২টি হয়রানি মূলক মামলা দায়েরের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাবশালীরা নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। এমনকি গত ১৮ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দাখিলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় গেইট ও দেয়াল প্রাচীরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যদিও প্রতিপক্ষের দাবি, তারা ৭২১-৭২২ দাগের জমিতে কাজ করছেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র কিংবা তাদের দায়ের করা অভিযোগে ভূমির দাগ, ক্ষতিয়ান উল্লেখ নেই বলে দাবী ভূক্তভোগীদের।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ছাতক থানার এসআই মহিউদ্দিন বলেন, উভয়পক্ষে আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার নোটিশ দিয়ে আসার পর খবর পেয়েছি কাজ চলছে। বিষয়টি তিনি ওসি সাহেবকে অবগত করেছেন।
থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান জানান, আদালতের নির্দেশ অমান্য করার প্রমাণ পেলে তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।