সারাদেশ

জেলার বিধানসভাগুলির নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গির খান, উপস্থিতে সোশ্যাল মিডিয়া একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল..

  প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২৫ , ৩:৩৪:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মোমিন আলি লস্কর ভারত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ জেলায় ৩১-এ ৩১ আসনের ডাক তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের সম্মেলনে

বাংলা বিরোধী সাম্প্রদায়িক বিজেপির মিথ্যা ও অপ্রচার এবং এস আই আর দ্বারা বৈধ ভোটারদের অধিকার হরণের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বৃহত্তম আন্দোলনের লক্ষ্যে বারুইপুর পূর্ব বিধান সভার তৃনমূল কংগ্রেসের তৃনমূল কংগ্রেসের আই টি সোশ্যাল মিডিয়ার সেল ও তৃনমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে রবিবার বারুইপুর উত্তর ভাগ চাণক্য পুরীতে আমি ডিজিটাল যোদ্ধা বিষয়ক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়লেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের নেতারা আগামী ২৬শে বিধানসভা নির্বাচন কে পাখির চোখ করে ,জেলার ৩১-এ ৩১ আসন জয়ের ডাক দিলেন।
উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ড হারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিষ চক্রবর্তী, জেলার বিধানসভাগুলির নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গির খান, সাংসদ বাপি হালদার, টিএমসিপির সাংগঠনিক সভাপতি শ্রীজিৎ ঘোষ, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার, বারুইপুর ব্লক সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী, সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি হাজী রফিকুল হাসান, পূর্ব বিধানসভার সোশ্যাল মিডিয়ার আনোয়ার জমাদার, বারুইপুর পূর্ব তৃনমূল কংগ্রেসের কৃষক ও ক্ষেত মজুর সংগঠনের সহসভাপতি আব্দুল হামিদ মোল্লা,বামনগাছি অঞ্চলে যুব কার্যকারী সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন মিস্ত্রী (লাল্টু দা)ফারুক হোসেন হালদার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ গন । এছাড়া ছিলেন রাজ্য স্তরের আইটি সেলের উপাসনা চৌধুরী, অর্পণ ব্যানার্জি, অর্ণব দাস, কৃষ্ণাশীষ সাহা, ফ্যাম কর্মীরা। মঞ্চ থেকে বাংলা বিরোধী সাম্প্রদায়িক বিজেপির মিথ্যা ও অপ্রচার এবং এসআইআর দ্বারা বৈধ ভোটারদের অধিকার হরণের চক্রান্তের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বিধানসভায এলাকার তরুণদের নিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্য কৃষ্টি রক্ষায় মাঠে নামার আহ্বান করলেন বিধায়ক বিভাস সরদার। শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতায় আজ সোশ্যাল মিডিয়া অনেকটাই শক্তিশালী। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, নেতৃত্ব দিতে হলে আগে বুথ লেভেলে কাজ করতে হবে। বিজেপির কুৎসা অপপ্রচার রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। উপাসনা তাঁর পরিচিতি দিতে গিয়ে বলেন, আমি উপাসনা, আর আমার পদবি ডিজিটাল যোদ্ধা। জয় বাংলা স্লোগান তুলে উপস্থিত কর্মীদের উজ্জীবিত করেন উপাসনা চৌধুরী। বারুইপুর পূর্ব থেকে জেলার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ডিজিটাল যোদ্ধার নাম নথিভুক্তকরণের চ্যালেঞ্জ দেন ছাত্রনেতা শ্রীজিৎ। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার কতটা জরুরি তা আমাদের সম্প্রতি কাকদ্বীপের কালীমূর্তি ভাঙার ঘটনাকে তুলে ধরেন বাপি হালদার। তিনি বলেন, অভিযুক্ত নারায়ণ হালদারকে তৃণমূল কর্মী হিসেবে অপপ্রচার করেছিল কুৎসাকারী বিজেপি। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীরা বিজেপির মঞ্চে বসে থাকা এই নারায়ণ হালদারের ছবি প্রকাশ করে মুখোশ খুলে দেয় তাদের। জাহাঙ্গীর খান বলেন, বিজেপি ২০২১ সালে এনআরসি চালু করতে চেয়েছিল, পারেনি। আর এবার এসআইআর চালু করতে চাইছে। এবারেও পারবে না। বিপুল ভোটে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেবেন। এদিন বিধানসভার ১৫টি পঞ্চায়েতের আইটি সেল এর সভাপতির হাতে সোশ্যাল মিডিয়ার অস্ত্র হিসেবে নতুন মোবাইল ও স্ট্যান্ড তুলে দেন বিধায়ক বিভাস সরদার।

Author

আরও খবর

Sponsered content