প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২৫ , ৪:০৭:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে সংঘর্ষে নিহত ব্যবসায়ী মানিক মিয়া হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামী আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল ইসলাম এখনও পুলিশের ধরা-ছোয়ার বাইরে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতীয় সীমান্তবর্তী ইছামতি বাজারের আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে এক মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছেন বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তরা বলেন, ৩০ অক্টোবর রাতে ইছামতি বাজারে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে লুভিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইউপি আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সেক্রেটারী ও চোরাকারবারী কামরুল ইসলাম কামরুলের সাথে বনগাঁও গ্রামের ফজলুল করিমের বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানিক মিয়া রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে গত ৩ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলায় দায়ের করা হলেও প্রধান আসামী কামরুল ইসলাম এখনও পুলিশের ধরা ছোয়ার-বাইরে রয়েছে। হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কামরুলের অনুসারী গং কর্তৃক নিজ গৃহে আগুন লাগিয়ে বাদি পক্ষের স্বাক্ষীগণের নামে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে। মামলার স্বাক্ষীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি এবং হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বনগাঁও আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো.সিরাজুল হক, সীমান্তিক জনকল্যান সংস্থার সভাপতি মো.ইলিয়াছ আলী, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সফিক আলী, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার ময়না মিয়া, বিএনপি নেতা হেলাল মিয়া, সাবেক মেম্বার রজব আলী, লাল মিয়া, ব্যবসায়ী নিহত মানিক মিয়ার ছোট ভাই ফজল করিম, জাহিদ হাসান, মাওলানা আব্দুস সালাম, মো.নুরুজ্জামাল, আহমদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, মো.মনিরুজ্জামান, আব্দুল হক প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধনে ব্যবসায়ী মানিক মিয়া মামলার প্রধান আসামী কামরুলসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনার দু’সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর লুভিয়া গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় অনেকটাই বাড়ি-ঘর এখনও পুরুষ শুন্য। চলছে সুনসান নীরবতা, গ্রেপ্তার এড়াতে আতংকে আসামী অনেকেই গা-ডাকা দিয়েছেন। মানিক মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী কামরুলসহ বেশ কয়েক আসামী ছবি দিয়ে দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা জুড়ে পোষ্টারিং করা হয়েছে।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মো.আব্দুর রাহিম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘর্ষের পর এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী কামরুলসহ অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

















