গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রতিনিধি যে মেলায় গেলে ইচ্ছাপূরণ হয়, গাইবান্ধা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গেলেই দেখা মেলে মীরের বাগান। মীরের বাগান টি স্থগিত,১০১১ ইং ১ম সংস্থার ১৩৩৭ বাংলা সন, ১০ নং ঘাগোয়া ইউনিয়নে অবস্থিত দারিয়াপুর গাইবান্ধা। এই মীরের বাগানটি উদ্দেশ্য করে প্রতি পহেলা বৈশাখ থেকে শেষ বৈশাখ পর্যন্ত মেলা চলমান থাকে। এই মীরের বাগানে অবস্থিত রয়েছে একটি মসজিদ, মসজিদটি দেখাশোনা করছেন তখনকার সময়ে, পীর শাহ সুলতান গাজী, মীর মোশারফ হোসেন ও শরফউদ্দিন হোসাইন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মীরের বাগান জায়গাটিতে এক সময় কাশফুল ও গাছবাগানে পরিপূর্ণ ছিল। হঠাৎ করে একদিন গাজী শাহ সুলতান মারা যান, তার কবর দেওয়া হয় মীরের বাগানে এক সময়ে মাজারে পরিপূর্ণ, তার কিছুদিন পর মোশারফ হোসেন মারা যান। তখন থেকে চলে আসছে মীরের বাগান নামে প্রচারিত, মাজারকে কেন্দ্র হাজারো মানুষ মীরের বাগানে মানত করেন, এবং সাফল্য লাভ করে বলে জানা যায়। মাজার কে উদ্দেশ্য করে যে যা চায় সেই আশায় নাকি পূর্ণ হয়। প্রতি বৈশাখ মাসে মীরের বাগানে মেলা নামে উদযাপন শুরু হয় এবং নানান ধরনের দোকানপাট এবং নানান আয়োজন সেখানে প্রতিদিন মানুষের ভিড় জমে ও কেউ বা মাজারে মানত করে খিচুড়ি রান্না করে মানুষকে খাওয়াইয়া দেয়। সব ধরনের মানুষ মীরের বাগানে যায় আমরা আরো জানতে পারি এই মীরের বাগানকে কেন্দ্র করে এখন সিরেকে পরিণত হয়েছে বলে জানা যায়।