👤বিশেষ প্রতিনিধি: শিশুপাচার চক্রের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১৩টি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ওই ফ্ল্যাট থেকে ৮ নারীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের দুজন নিজেদেরকে শিশুদের বাবা-মা বলে দাবি করেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা যে দাবি করছে তা মিথ্যা। তারা শিশুদের জৈবিক বাবা-মা নন। তারা ভারতের কয়েকটি রাজ্য থেকে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের অল্প অর্থের বিনিময়ে কেনে। পরে এক একটি শিশুকে কমপক্ষে সাড়ে ৫ লাখ রুপিতে বিক্রি করে। ভারতের হায়দরাবাদে একটি ভবনের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শিশুগুলো কান্নাকাটি করছিল। খবর এনডিটিভি।
গত ২২ মে একটি শিশুকে সাড়ে চার লাখে বিক্রির অভিযোগে একজন নিবন্ধিত মেডিকেল প্র্যাকটিশনার (আরএমপি) শোভা রানীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরেই এই চক্রের তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
রাচাকোন্ডা পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে মেডিপলি পুলিশ এই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাচাকোন্ডা পুলিশ কমিশনার তরুণ জোশী বলেন, তারা দিল্লি এবং পুনে থেকে আসা তিনজন অভিযুক্তের কাছ থেকে শিশুগুলোকে কিনেছিলেন। দুই মাস থেকে দুই বছর বয়সী ১৩ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজন আরএমপি চিকিৎসক সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তরুণ জোশী আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সবাই তেলেঙ্গানা ও পার্শ্ববর্তী অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, দিল্লি এবং পুনে থেকে তিনজন তাদের এসব শিশু সরবরাহ করছিলেন।
কিছু পরিবার বেআইনিভাবে সংগ্রহীত এমন শিশুদের দত্তক নিতে চায় না। এতে কাগজপত্র তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতা থাকে। অনেক দম্পতিরা অবৈধভাবে সংগৃহীত শিশুদের বৈধ ও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দত্তক নেয়ার অপেক্ষায় থাকতে চান না। তারা এসব চক্রের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি দিয়ে এক একটি শিশুকে চিরদিনের জন্যে নিয়ে যায়।
উদ্ধার শিশুদের মধ্যে ১১টি মেয়ে শিশু এবং বাকি দুটি ছেলে। তাদের প্রকৃত বাবা-মায়ের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত তাদের শিশু কল্যাণ বিভাগে হস্তান্তর করা হবে, কর্মকর্তা জানিয়েছেন।