জয়পুরহাট জেলায় ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক শিক্ষার ব্যবস্থা দূর্নীতির শীর্ষে। শিক্ষকরা নিচ্ছেন বেতন।কিন্তু নেই নিয়মিত, নেই কোন উপস্থিতি শিক্ষকদের অবহেলায় ঝরে পরছে কমল মতি ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা।
পাঁচবিবি উপজেলায় ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক ১২১ টি শিক্ষা কেন্দ্র থাকলে নেই কোন সঠিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হাজিরা খাতায় ৩০-৩৫ জন ছাত্র ছাত্রী থাকলে বাস্তবে উপস্থিত ৬-৮ জন, হাজিরা খাতায় উপস্থিত নাম মাত্র কয়েকজন। এক মাসের মাধ্যে সরকারী ছুটি ব্যাতিত সবদিন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও হাজিরা খাতা অনুযায়ী ক্লাস করানো হয়েছে মাত্র ৫-৭ দিন। যেখানে ক্লাস নেওয়া কথা সেখানে ক্লাস না নিয়ে শিক্ষকরা নিজের ইচ্ছে মতো জায়গা বেছে নিয়েও ছাত্র ছাত্রীদের ফেলছে বিভ্রান্তে। যাদের দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব তারাই দায় পার করার জন্যে ৩-৪ মাসের কেন্দ্র পরিদর্শন একবারে করেন এমন অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষকের বদলে শিক্ষক নিজের ইচ্ছে মতো পরিচালনা করেন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
এবং উপজেলার দায়িত্বে থাকা কেয়ার টেকারদের সঠিক ভাবে নেই কোন তদারকি দায়িত্ব যেনো তাদের বোঝা। যাদের মাধ্যমে ছোট শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করা কথা তারাই আজ সেই শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় রতনপুর রায়পুর জামে মসজিদ মোছাঃ নাসরিন বেগম ছাত্র ছাত্রী দের পড়ানোর কথা থাকলেও সে না পড়িয়ে বসে থেকে বেতন খায় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
পারইল মাহবুবা আক্তার তার হাজিরা খাতা অনুযায়ী মাসে তার ক্লাস নেওয়া হয় ৫-৮ দিন এবিষয়ে তার কাছে বক্তব্য চাইলে সে বক্তব্য দিতে রাজি হয় না।
বালিঘাটা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত সালজুন গ্রামের মোছাঃ সুমাইয়া জান্নাত তার হাজিরা খাতায় ৩৫ জন শিক্ষার্থী থাকলে বাস্তবে তার ভিন্ন রুপ হাজিরা খাতা অনুযায়ী মাসে ৮-১০ দিন সে বিষয়ে বক্তব্য চাইলে তার স্বামী আজাদুল ইসলাম বলেন সে কোন বক্তব্য দিবেন না সাংবাদিকের সাথে অসদাচরণ ব্যবহার করেন।
আটাপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ধাওয়ায়পুর গ্রামে মোঃ রমজান আলী তার হাজিরা খাতা অনুযায়ী শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৫ জন থাকলে বাস্তবে হাজির মাত্র ৮ জন এবং হাজিরা খাতা অনুযায়ী সে মাত্র জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী মাসে ক্লাস নিয়েছেন এবিষয়ে রমাজনের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
কুসুম্বা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হরেন্দা (ধাপপাড়া) গ্রামে রুবাইয়া জান্নাত সকল দূর্নীতির এক ধাপ উপরে তিনি আবার ছাত্র ভর্তির জন্য অবিবাবক থেকে ৫০০ টাকা চান দিতে না পারায় ভর্তি নেননি এবিষয়ে তার কাছে গেলে তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুঠোফোনের মাধ্যমে হুমকি দেন।
এমন ভাবে পুরো উপজেলায় রয়েছে নানা ধরেনর অবহেলা এবং অনিয়ম তবুও কেনো চুপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ বিষয় পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপজেলা সভাপতি আরিফা সুলতানা জানান ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের সাথে কথা বলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।