নেত্রকোনার মদন উপজেলায় শিক্ষক -শিক্ষার্থী ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে জনতা কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের সাইন বোর্ড ও ঘর। চারদিকে কৃষি জমি।সড়েকের পাশেই চোখে পড়বে দুইটি ব্যাল্ডিং ঘর। নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র । শুধুমাত্র ঘরে পাশে ঝুলিয়ে রাখা আছে জনতা কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের সাইন বোর্ডটি। ভবনের দরজা বন্ধ রেখে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও কোনো শিক্ষক -শিক্ষার্থী এখানে আসে না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।সাইন বোর্ডে ২০০৫ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও ঘরগুলো নির্মাণ করা হয় দুই বছর আগে।
আজ রবিবার সরজমিনে ফতেপুর ইউনিয়নে হাসনপুর গ্রামে গেলে সড়কে পাশে কৃষি জমির মাঝখানে দুটি হাফ ব্যাল্ডিং ঘর তালা বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশে জনতা কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের একটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো শিক্ষক – কর্মচারী ও শিক্ষার্থী পাওয়া যায়না। এ সময় স্হানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী জানান,
গত দুই বছর আগে এই ঘর নির্মাণ করলেও আদৌত কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।এর কয়েক বছর আগে তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী বাঘমারা বাজারের এক পাশে এই প্রতিষ্ঠানের নামে সাইন বোর্ড ঝুলানো ছিল। যেহেতু হাসনপুরে ঘর নির্মাণ আছে এর কার্যক্রম শুরু করলে অনুন্নত এলাকার ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতো।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে নাম্বার নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুল রহমান খানের মোটফোনে ফোন দিলে,
তিনি এখানে ক্লাস শুরু না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। অচিরেই এখানে ক্লাস শুরু হবে বলে জানান। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯সালে এমপিওভুক্ত হয়। এ কলেজ আমি সহ ৯জন স্টাফ আছে। নবম শ্রেণিতে ১২জন, একাদশ শ্রেণিতে ১০০জন, দ্বাদশ শ্রেণিতে ৬২জন, শিক্ষার্থী আছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী জানান, অধ্যক্ষ আরিফুল রহমান খানকে মোটফোনে ফোন দিলে তিনি ক্লাসে আছি বলে জানান। তবে এখানে ক্লাস হয় না বিষয়টি আমার জানান ছিল না। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
প্রতিষ্টানটির গর্ভনিং বডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:শাহ আলম মিয়া জানান,
আমার জানা মতে এ কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ক্লাস না নিলে অচিরেই তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।