চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। গতবছর উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফার আশা তাদের।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফসি) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭, বিনা-৪/৯ এবং টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
ধামরাই উপজেলায় সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। ১৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরিষা আবাদ হয়েছে – ধামরাই সদর ইউনিয়ন, সোমভাগ ইউনিয়ন, ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন, কুল্লা ইউনিয়ন, কুশুরা ইউনিয়ন, সুতিপাড়া ইউনিয়ন, আমতা ইউনিয়ন, বালিয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে। এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। সরিষার পরে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। সরিষা আবাদের পর ওই একই জমিতে বোরো ধানের আবাদ খুবই ভালো হয় এবং ধান চাষে খরচও কম হয়।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন -‘ কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো ধান আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্যে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভালো হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে। ‘