প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১:২৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
হাবিব ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজলুল হক মনির ম্যুরাল ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো চত্বরে অবস্থিত ম্যুরালটির বেশ কিছু অংশ ভেঙে বিকৃত করে দেয় তারা। তবে ম্যুরালের মূল অবকাঠামো আগের মতোই রয়েছে।এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বড় মাঠ) বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হাতুড়ি, রড, জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে জড়ো হন। এরপর বড় মাঠের পাশেই অবস্থিত জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় ম্যুরাল ভাঙচুর করার জন্য প্রবেশ করতে গেলে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প হওয়ায় বাহিনীর সদস্যা বাধা দেন। এতে সেনাবাহিনী ও বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে জনতার তোপের মুখে সেনাবাহিনী তিন জন করে ডাকবাংলোয় প্রবেশের অনুমতি দেন। কিন্তু সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেন সেনাবাহিনী। পরে একে একে ছাত্ররা শেখ মজিবরের ম্যুরাল ভাঙচুর করে ভাঙা অংশে চোর লিখেন। এরপর সাড়ে ৭টার পর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে শহরের টাঙ্গন ব্রিজ আর্টগ্যালারি মোড়ে। সেখানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভেতরে শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এরপাশেই অবস্থিত শেখ ফজলুল হক মনি চত্বরটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে মশাল মিছিল নিয়ে সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স চত্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকাস্থ ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ভাঙচুরের পর ঠাকুরগাঁওয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরালসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সকল ম্যুরাল ভাঙচুরের দাবি করে ছাত্র জনতা। দাবির প্রেক্ষিতে বিকেলের মধ্যে সমস্ত ম্যুরাল সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসন। তারপরেও ম্যুরালগুলো সরিয়ে না নেওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে ভাঙা শুরু করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। তবে ডিসি পার্কসহ আরো বেশ কিছু স্থানে ম্যুরাল ও প্রতীকী ছবি থাকলেও দ্রুতই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিলে ফিরে যায় তারা।এসময় তারা বলেন, কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব রাখা হবে না। শুধু জেলা শহর নয়, প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে অবস্থিত সকল ম্যুরাল ও চিহ্ন মুছে ফেলা হবে।