আব্বাস উদ্দিন:জেলা প্রতিনিধি(ব্রাহ্মণ বাড়িয়া): সরাইল উপজেলা বাসীর প্রাণের দাবী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের প্রধান সড়কটি যানজট মুক্ত । সড়কটির দুই পাশ ব্যবসায়িদের মালামাল, সিএনজি ও অটোরিকশা দখল করে রাখে। ফলে নিয়মিত তীব্র যানজটে নাকাল সরাইলবাসী। বৃদ্ধ রোগী ও শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগে রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে হরহামেশা। অবশেষে হাসপাতালের মোড় থেকে প্রাত:বাজার পর্যন্ত প্রধান এই সড়কের দুই পাশে সকল ধরণের যানবাহন রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গতকাল রোববার দিনভর মাইকিং করেছেন উপজেলা প্রশাসন। বলা হয়েছে অরূয়াইলগামী সিএনজি এই সড়কে যেতে পারবে না। সদরে ভারী যানবাহন প্রবেশে সময় বেঁধে দিয়েছেন। স্বস্থির স্বপ্ন দেখছেন সরাইল সদরের বাসিন্দারা।
সূত্র জানায়, সরাইল সদরের হাসপাতাল মোড় থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশের প্রধান সড়কটি গত ১৪-১৫ বছর ধরে এক শ্রেণির ব্যবসায়ি, সিএনজি ও অটোরিকশার দখলে। এছাড়া বিশ্বরোড থেকে ছেড়ে আসা অরূয়াইল পাকশিমুল গামী যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশা গুলো সরাইল সদরের ভেতর দিয়ে যাতায়ত করে। কারণে অকারণে এই সিএনজি গুলো সড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। দাঁড়িয়ে থাকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাও। সড়কের পাশের সিকিউরিটি দিয়ে ভাড়া দোকানের স্থায়ী ব্যবসায়িরা দোকানের পর মালামাল সড়কের উপর রেখে জায়গা দখল করে। এতে করে সড়কের প্রস্থ শুধু সরূই হচ্ছে। আর দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ সরাইলবাসীর। আটকে যাচ্ছে রোগীবহন কারী গাড়ি ও আগুন নির্বাপক ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও। এছাড়া বৃদ্ধ, রোগী, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় গত ১০-১২ বছর ধরে আলোচনা হচ্ছে। কোন প্রতিকার হয়নি আদৌ। সড়ক দখলে বাঁধা দিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন। অবশেষে গতকাল রোববার দিনভর গুরূত্বপূর্ণ এই সড়কটি মুক্ত রেখে মানুষের দূর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে মাইকিং করে বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন।
এরমধ্যে প্রথমটি হচ্ছে সরাইল সদরের ভেতরের সড়কে অরূয়াইল পাকশিমুলের যাত্রীবাহী সিএনজি যাতায়ত করতে পারবে না। দ্বিতীয়টি হচ্ছে হাসপাতাল মোড় থেকে প্রাত:বাজার পর্যন্ত ব্যস্ততম এই সড়কের দুই পাশে সিএনজি, অটোরিকশাসহ কোন ধরণের যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। সড়কের পাশের ব্যবসায়িরা সড়কে বা পথচারিদের হাঁটার জায়গায় মালামাল রাখতে পারবেন না। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রাক পিকআপসহ কোন ধরণের ভারী যানবাহন সরাইল সদরে প্রবেশ করতে পারবে না। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন বলেন, পথচারিসহ গোটা সরাইলবাসীকে যানজটের মত দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে হলে প্রধান সড়কটি মুক্ত করা খুবই প্রয়োজন। তাই জনস্বার্থে এই ব্যবস্থা নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সকলে সহযোগিতা করলে অবশ্যই আমাদের উদ্যোগ সফল হবে।