জহিরুল ইসলাম, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ), প্রতিনিধিঃ সব সময়ের মতো প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের প্রথম শনিবার আসলেই মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নেরর্তী মহিষখলা বাজারের ঐতিহাসিক কালীপূজাকে কেন্দ্র করে জমে উঠে শতবর্ষী ফাল্গুনী মেলা। ধারণা করা হয়— বাংলা ১৩২৯ সনের পূর্ব থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে। মেলাকে নিয়ে এক মাস আগ থেকে শুরু হয় নানা উদ্দীপনা-আমেজ। শনিবার ভোর থেকেই উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহিষখলা বাজারের পাশে বিশাল জায়গা জুড়ে খোলা আকাশের মাঝখানে বিভিন্ন ধরণের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে এ মেলা। দিনব্যাপী আয়োজিত মেলায় ধর্ম—বর্ণ, নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
মেলায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী ও ক্রেতা ইমন খান জানান, মহিষখলা মেলাটি একটি ঐতিহাসিক প্রাচীনতম শতবর্ষী মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে। মেলাটির অপেক্ষায় আমরা সারা বছর থাকি। যখন ফাল্গুনের পহেলা শনিবার আসে তখনই এ মেলা বসে।
এছাড়া আরও দর্শনার্থীরা জানান আমরা ছোটকাল থেকেই এ মেলা দেখে আসছি। প্রতি বছর মহিষখলা বাজার কালী মন্দিরে কালীপূজাকে কেন্দ্র করে ফাল্গুন মাসের প্রথম শনিবারে এই মেলা বসে। মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুণ্যার্থীরা মায়ের মন্দিরে মানত নিয়ে আসেন।
উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরনবী তালুকদার বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে শতবর্ষী মহিষখলা মেলা।