সংঘর্ষ

বন্ধুত্ব করতে চাইলে আগে তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে দেন, ভারতকে উদ্দেশ্যে করে মির্জা ফখরুল

  প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:১৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মো: মফিদুল ইসলাম সরকার (রংপুর): রংপুরের কাউনিয়া রেলসেতু পয়েন্টে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে নদীপাড়ে লাখো মানুষের সমাবেশে আজ উদ্বোধন হলো দুইদিনব্যাপী তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের কর্মসূচি।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় জনতার মঞ্চে উপস্থিত হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই কর্মসূচির।

উদ্বোধনী দিনে প্রধান অথিতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বিগত সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর তিস্তাকে বাঁচাবে বলে পতিত হাসিনা তিস্তাপাড়ের মানুষকে নিয়ে খেলেছে। কিন্তু তিস্তাপাড়ের মানুষের দুঃখ ঘোচাতে কাজ করেনি। হাসিনা বাংলাদেশেকে বিক্রি করেছে কিন্তু পানি আনতে পারেনি। এছাড়াও ৫৪টি নদীকেও ধ্বংস করেছে তারা। যার ফলস্রতিতে ৩৬ দিনের লড়াইয়ে পালিয়েছে স্বৈরাচার হাসিনা। এবার ভারত আমাদের ন্যায্য হিস্যা না দিয়ে
হাসিনাকে উল্টো ভারতে রাজার হালে রেখেছে। সেখানে বসে আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ভারতকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারত যদি আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায় তবে আগে পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। একই সাথে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে তিস্তা ইস্যুতে নিরপেক্ষ সুর বাদ দিয়ে অধিকার আদায়ে কথা বলতে হবে। একই সাথে দেশের শান্তি রক্ষায় নির্বাচনের দাবি করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, মজলুম নেতা মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা আন্দোলনের পর দ্বিতীয়বার তিস্তা রক্ষার এমন বড় আন্দোলনের আয়োজন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলের প্রধান সমন্বয়েক আসাদুল হাবিব দুলু।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী জনতার সমাবেশের উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইয়ের চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তিস্তা নদীর খান আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

Author

আরও খবর

Sponsered content