সারাদেশ

মধুপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১১:৪৮:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মধুপুর প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ক্রয় করা দখলকৃত জমিতে স্থাপনা নির্মানে বাঁধা ও জোরপূর্বক বেদখলের পায়তারার অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উক্ত জমির এস এ রেকর্ডীয় মালিক ছাফাতন নেছা বিবি ওরফে ফালানী মৃত্যুবরণ করার পর তার স্বামী ময়েজউদ্দিন সরকার মালিক প্রাপ্ত হন। ময়েজউদ্দিন সরকার দখলে থাকা অবস্থায় বিগত ১৯৯৫ সালে ৪৩২০ নং দলিল মুলে এস এম নুরুল ইসলাম রাজের নামে ৪০ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন।

ক্রয়কৃত জমি দখলে থাকা অবস্থায় এস এম নুরুল ইসলাম রাজ মৃত্যু বরণ করায় তার স্ত্রী খাদিজা রাজ ও তার দুই পুত্র এক কন্যা ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হন।মৃত নুরুল ইসলাম রাজের স্ত্রী খাদিজা রাজ জানান, আমি উক্ত ৪০ শতাংশ জমি সন্তানদের সাথে ঘরোয়া ভাবে আপোষ মিমাংসা মাধ্যমে মালিকপ্রাপ্ত হয়ে দখলে রয়েছি।

তিনি দৈনিক মুক্তকথননিউজকে জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল থেকে আমার স্বামীর ক্রয়কৃত প্রায় ৩১ বছর যাবত দখলিত জমিতে স্থাপনা নির্মান করতে গেলে এনামুল হক পিতা- মৃত আঃ কাদের, মধুসূধন সাহা পিতা- মৃত জগবন্ধু সাহা, নাদিম পিতা- মৃত আমির আলী, আব্দুল হালিম পিতা- মৌলভী জান মোহাম্মদ, আব্দুর রহিম মিন্টু পিতা – ইসমাইল হোসেন সহ ১০/১২ জন লোক দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র নিয়ে আমাকে ঘেরাও করে ফেলে এবং আমাকে নির্মান কাজ বন্ধ করে চলে যেতে বলে। আমি তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা আমাকে মারতে উদ্বত হয় এবং জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালায়।

পরবর্তীতে আমি আতঙ্কিত হয়ে ডাক চিৎকার করতে থাকি। আমার আত্মচিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। যাবার সময় আমার ক্রয়কৃত ভুমি যেকোনো মুল্যে দখল করবে বলে শাসিয়ে যায়। আমি এবং আমার পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি।

ভুক্তভোগী দৈনিক মুক্তকথন নিউজকে জানান, এ বিষয়ে আমি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (অঃদাঃ)আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যার, মামলা নং ৮৮/২০২৫। উক্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
মহামান্য আদালত, সরেজমিনে তদন্ত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিফাত আনজুম পিয়াকে স্কেচম্যাপ সহ দখল বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এবং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উক্ত জমিতে উভয়পক্ষকে না যাওয়ার জন্য মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এমরানুল কবীরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
কিন্তু বিবাদীগন আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক আমার ক্রয়কৃত জমিতে পেশিশক্তি খাটিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থাপনা নির্মানের কাজ করে যাচ্ছেন। আমি বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। এমতাবস্থায়, ক্রয়কৃত জমিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক দখলদারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এ ভুক্তভোগী পরিবারটি।
বাবুল রানা
মধুপুর টাঙ্গাইল
২০-০২-২০২৫

Author

আরও খবর

Sponsered content