আবুল কালাম আজাদ ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শুকনাকুরি এলাকার এক গরু খামারের প্রহরী মোঃ জয়নাল (৬৫) কে খুন করে সাত গরু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ ২০২৫ ) উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া চৌরাস্তা নামক এলাকার মাহবুবুল হকের কামারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল আবেদীন পুকুরিয়াকান্দা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়নাল মিয়া গত দুইমাস ধরে এই গরুর খামারে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন। এ ছাড়াও আরও দুইজন কর্মচারী এখানে কাজ করেন। বুধবার রাত দশটার দিকে হেলাল নামের একজন পাহারাদার দিনের ডিউটি শেষ করে জয়নালকে রাতের ডিউটি বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। পরে আজ সকালে হেলাল আবারও ডিউটিতে ফিরে জয়নালের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিতে তাকে খোঁজ করলে একপর্যায়ে গরুর খড়ের ঘরের পালার সাথে বাঁধা মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি ফার্মের মালিকসহ সবাই জানালে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
ফার্মের মালিক মাহবুবুল হক জানান, ১১টির গরুর মধ্যে ৭টি গরু নিয়ে গেছে এবং কর্মচারী জয়নালকে কেবা কাহারা মেরে ফেলেছে। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বুঝতে পারছি না।
নিহত জয়নাল মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই এই মালিকের ফার্মে কাজ করতেছে। সকালে আমাদেরকে ফোন করে বাবাকে মেরে ফেলেছে জানাইলে খবর শুনে খামারে চলে আসি।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) আল-ইমরানুল আলম বলেন, সর্বশেষ গত রাত দশ ঘটিকায় যখন বদলি পাহারাদার এখানে আসেন, তখন জয়নালকে কাজ বুঝিয়ে দেয় অন্য পাহারাদার। পরবর্তিতে আজ সকালে জয়নালের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেয়ার জন্য অন্য পাহারাদার এসে দেখতে পান গরু রাখার ঘরের দরজা খোলা ও সাতটি গরু নাই। প্রহরী জয়নালের খোঁজ করলে কোথাও না পেয়ে খড়ের ঘরে মুখ বাঁধা এবং মৃত অবস্থা পাওয়া যায় তাকে। গত রাত দশটার পর হতে যেকোনো সময়ে এ ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে ও শ্বাসরোধ করে তাকে মারা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত ও রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ (পিপিএম)