বাবুল রানা, মধুপুর টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন কুড়ালিয়া ইউনিয়নের আমতলী নামক এলাকায় জীবিত গরু দেখিয়ে মৃত গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল থেকেই এনিয়ে উপজেলার আমতলী এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার হলুদিয়া গ্রামের কসাই আরিফ, মধু ও খায়রুল দীর্ঘদিন যাবত আমতলী বাজারে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার আমতলী বাজারে একটি গরু জনসম্মুখে বেধে রেখে এলাকা জুড়ে মাইকিং করা হয়। মাইকিং করে জানানো হয়, বুধবার সকালে একটি লক্ষ টাকা দামের গরু জবাই করা হবে। মাইকিং শুনে এবং জনসম্মুখে বেধে রাখা গরু দেখে অনেকেই মাংস নিতে অগ্রিম টাকা দিয়ে নাম এন্ট্রি করেন। সকালে মাংস নিতে গিয়ে দেখা যায়, মাংস গুলো কালছে সেঁতসেঁতে এনিয়ে সকলের মনে সন্দেহ জাগে, দেখানো গরুর মাংস এগুলো নয় বলে তারা জানান।
পরবর্তীতে বাজারের পাহাড়াদারের কাছে গরু জবাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, তারা আমাকে রাতে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে তারপর গরু জবাই করেছে। এরপর আর বুঝতে কারো বাকি নেই এটি সেই গরুর মাংস নয়। অনেকেই দলবেঁধে ছুটলো কসাই আরিফের বাড়িতে, গিয়ে দেখা যায় জবাই করা গরুটি দিব্যি দাঁড়িয়ে খর খাচ্ছে। তাহলে কি পবিত্র রমজান মাসে মৃত গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে? শুরু হয় গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা। বাজারে হাজির করা হয় উক্ত গরু সহ কসাই আরিফকে। সে জানায়, আমার এ-ই গরু জবাই করার কথা ছিলো কিন্তু অন্য গরু জবাই করা হয়েছে এবং সেটা জীবিত না মৃত সেবিষয়ে খায়রুল ও মধু বলতে পারবে বলে সে জানায়।
পবিত্র রমজান মাসে মৃত গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে এনিয়ে তিন কসাইয়ের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানান গ্রামবাসী। বিচারের দায়িত্ব নেন, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আবু সাইদ ও বিএনপি নেতা কাজিম উদ্দিন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে মাতব্বরগন অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু সমাধানের জন্য তারা ২দিনেও তিন কসাইকে হাজির করতে পারেনি। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কৃষক দলের সভাপতি আবু সাইদ ও কাজিম উদ্দিন বসার সময় দিলেও বিকেল পর্যন্ত কাউকে হাজির করতে পারেননি। আবারও তারিখ পরিবর্তন করতে চাইলে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং দায়িত্ব নেওয়া বিএনপির দুই নেতা পালিয়ে যান বলে জানান এলাকাবাসী।
এনিয়ে এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যেকোনো সময় আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশিষ্টজনেরা। এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।