রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
English
ব্রেকিং নিউজ
ময়মনসিংহ গৌরীপুরে ১ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ জামাই শ্বশুর আটক মেহেরপুর আমঝুপিতে হেরোইন-সহ মাদক সেবি আটক-১ খানপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হাফিজ সভাপতি বাবুল ফকির সম্পাদক যে নারী ছায়ার মতো আসে, আগুনের মতো পোড়ায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন তিস্তা পাড়ে এক হাজার শয্যার আন্তর্জাতিক হাসপাতালের দাবিতে গঙ্গাচড়ায় মানববন্ধন মেহেরপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন সরাইলে এক মদক সেবী মাতাল অবস্থায় ও ড্রেজার মেশিন আটক শ্যামগাতি গাবগাছি হিন্দু পাড়ার রাস্তাটি জনগণের চলাচলের জন্য একটি মরণ ফাঁদ মায়ের দোয়ায় মোড়ানো এক দূর দেশের যাত্রা

চাঁদাবাজির জালে বন্দী জনগণ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জবাবদিহির দাবি

Muktakathan News
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৭ Time View

এইচ এম এরশাদ,আন্তর্জাতিক সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, প্রতিটি সড়ক, প্রতিটি যানবাহন যেন চাঁদাবাজির এক নিরব রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সরকারের নাম, বিভিন্ন সংগঠন, পৌরসভা, এমনকি ভুয়া সংস্থার ব্যানার ব্যবহার করে খোলা মাঠে চলছে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি। কোথাও কেউ নেই প্রতিরোধে—জনগণ আজ নিরুপায়।

এই চাঁদাবাজি কারা করছে? কারা এর পেছনে আছে? টাকা কোথায় যাচ্ছে? সাধারণ মানুষ জানতে চায়—এই চাঁদা কাদের পকেটে ঢুকছে? কত ভাগে ভাগ হচ্ছে এই অবৈধ অর্থ? কে পাচ্ছে কী পরিমাণ? এই চাঁদাবাজি থেকে কে কিভাবে লাভবান হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা, আর সরকার কিংবা প্রশাসন নির্বিকার।

চাঁদাবাজির মূল লক্ষ্য: যানবাহন চালক ও মালিক

এই অবৈধ অর্থ আদায়ের প্রধান শিকার হচ্ছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশা, বাস, ট্রাক, মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস, হাইয়েস, এমনকি মোটরসাইকেল চালকরাও। প্রতিদিন ঘাটে ঘাটে, মোড়ে মোড়ে এসব যানবাহন থামিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে, যেন এটি একটি বৈধ কর আদায়ের প্রক্রিয়া।

বলা হচ্ছে, এই টাকা বিভিন্ন “সাংগঠনিক খরচ”, “পথচারী নিরাপত্তা”, “সড়ক ব্যবস্থাপনা”, কিংবা “চালক কল্যাণ তহবিল”-এর নামে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো হিসাব নেই, নেই কোনো প্রমাণ, নেই কোনো বৈধ রশিদ।

রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে চলছে এই অনিয়ম

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চাঁদাবাজি একটি সুসংগঠিত চক্র দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যাদের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়া। বিভিন্ন সংগঠনের নামে আদায় হলেও, এসব সংগঠন অনেকক্ষেত্রেই অবৈধ কিংবা নিবন্ধনহীন।

যদি কেউ প্রতিবাদ করে, তাহলে তার উপর নেমে আসে নির্যাতন। কোথাও গাড়ি আটকে দেওয়া হয়, কোথাও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাই অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পান না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি

জনগণের একটাই প্রশ্ন—এই জুলুম আর কতদিন চলবে? এই চাঁদাবাজির কবল থেকে কবে মুক্তি মিলবে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ জনগণের জোর দাবি, এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সড়কে, বন্দরে, টার্মিনালে, প্রত্যেক জায়গায় থাকা এই অবৈধ অর্থ আদায় চক্রকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

প্রতিবাদের সময় বন্ধ হয়নি এই চাঁদাবাজি

প্রতিবার নির্বাচনের আগে, আন্দোলনের সময়, হরতালে কিংবা যেকোনো রাজনৈতিক অস্থিরতায়ও এই চাঁদাবাজির ধারা বন্ধ হয়নি। এর মানে স্পষ্ট—এটি শুধুই ছোটখাটো দুর্নীতি নয়, এটি একটি গভীর, প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেওয়া চক্রের কাজ।

জনগণের একটাই প্রশ্ন: এই জুলুম কবে থামবে?

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি সড়কে আজ এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—আর কতদিন আমাদের চাঁদা দিয়ে চলতে হবে? কবে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এই অনৈতিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি জাতীয় পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

Author

Please Share This News in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Muktakathan Kalyan Foundation ©
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102