মোঃহাসানুর জামান বাবু, চট্টগ্রামঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, শ্রমিক অঙ্গনের মূল শক্তি ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন। ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন সরকার কর্তৃক স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠন। এই সংগঠন যখন শ্রমিকের অধিকার আদায়ের পক্ষে কথা বলে তখন সরকার তাদের কথা শুনতে বাধ্য হয়। তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে আলোচনা পর্যালোচনা জন্য বৈঠক আহ্বান করে।
তিনি আজ চট্টগ্রামের বিআইএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ট্রেড ইউনিয়নের নবগঠিত কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী-এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী আমির সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও অঞ্চল পরিচালক লস্কর মো. তসলিম, চট্টগ্রাম ৯ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. একেএম ফজলুল হক। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নগর ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মকবুল আহমদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ নূরনবী ও ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম,প্রকাশনা ও পাঠাগার সম্পাদক ইঞ্জি: সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সহ-সাধারন সম্পাদক ইঞ্জি শিহাব উল্লাহ, মহানগরীর অফিস সম্পাদক স.ম শামীম, মহানগরীর সহ-প্রচার সম্পাদক আবদুর রহীম মানিক, হোটেল সেক্টরের সভাপতি সাব্বির আহমেদ উসমানি, পাঁচলাইশ থানা সভাপতি আমির হোসেন, নির্মান সেক্টর সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম, পতেঙ্গা থানা সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে দেশের মানুষ স্বস্তির সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। এটি অন্তবর্তী সরকারের সাফল্য। আমরা অধিকাংশ সময়ে দলমতের বাইরে গিয়ে কারো প্রশংসা করতে পারি না। আগামীর বাংলাদেশে এই ধারার পরিবর্তন অনস্বীকার্য। বিগত ৫৩ বছরে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসেনি। ড. মুহাম্মদ ইউনুস একটি পরিবর্তনের দিকে দেশকে নিতে চাচ্ছেন। আমরা রাজনীতির সকল ইতিবাচক সংস্কারকে স্বাগত জানাচ্ছি। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের প্রতিনিধির রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্পণের জন্য সরকারকে তাগাদা দিচ্ছি।
মুহাম্মদ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দেশের মোট শ্রমিকের ৬৩ ভাগ ট্রেড ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে যদি কুরআন সুন্নাহর পথে নিয়ে আসা যায় তাহলে দেশের আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে। আর সেই অভ্যুত্থান হবে ইসলামের। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় ন্যায়ের ভিত্তিতে ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। খোলাফায়ে রাশেদার সেই কল্যাণময় রাষ্ট্র এই দেশে খুব দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
মুহাম্মদ লস্কর মো. তসলিম বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ হবে শ্রমিকবান্ধব। তারা সততা ও ন্যায়ের পরীক্ষায় হবে উত্তীর্ণ। এই রকম একদল ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আমরা দেশে ইসলামী শ্রমনীতি কায়েম করতে চাই। ইসলামী শ্রমনীতি কায়েম হলে দেশে শ্রমিকের উপর চলা নানামুখী শোষণ-নিপীড়নের অবসান ঘটবে বলে আসরা বিশ্বাস করি।
সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফর বলেন, চট্টগ্রাম নগরে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদেরকে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আজকে তারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। শ্রমিকের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা প্রতিটি সেক্টরের শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন গঠন করতে চাই।