এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ মামলার আসামীকে ধরে এনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া, ঘুষ না দিলে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে তুলে এনে মামলায় ফাঁসানোসহ নানা অভিযোগ উঠা ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুর রহমানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। সদর থানায় যোগদানের ৫ মাসের মাথায় স্ট্যান্ড রিলিজ হলেন তিনি। ওসিকে স্ট্যান্ড রিলিজ এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম।
গত শুক্রবার ( ১৮এপ্রিল) রংপুর ডিআইজি আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমানকে প্রশাসনিক কারণে আরআরএফ রংপুরে বদলী করা হয়। এমন খবর ছড়িয়ে পরার পর সদরের আকচা, সালন্দরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মিস্টি বিতরনের খবর পাওয়া গেছে।
ওসির বদলির বিষয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মাত্র মাস যোগদানের মধ্যে শহিদুর রহমান সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানী করেছেন। রাজনৈতিক মামলায় অজ্ঞাত নামা থাকায় যে কাউকে ধরে নিয়ে এসে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দিতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ধরে ছেড়ে দেয়। তার সাথে আওয়ামীলীগ নেতাদের যোগসাজোস ছিল। শুধু তাই নয় আরো অভিযোগ রয়েছে, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর পারিবারিক বিষয়ে সমাধান টানতে গিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সমাধান দেয়নি ওসি। কারন হিসেবে জানা গেছে, অপর পক্ষের কাছে টাকার পরিমান বেশি নিয়ে তাদের পক্ষে কাজ করেছেন। এ নিয়ে থানায় দ্বন্দ্বও হয়। যা ঘুষ নেয়ার বিষয়টি ভিডিও ধারন করলে স্পস্টভাবে উঠে আসে।
এছাড়াও সম্প্রতি, জেলা শহরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা কয়েকজনের ১৬ টি গরু ধরে নিয়ে থানায় আটকে রাখে ওসি শহিদুর। পরবর্তিতে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলে টাকা না পাওয়ায় আটকে রাখা ১৬টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু মারা যায়।
এ নিয়ে শহরে তোলপাড় সৃস্টি হয়। গড়ায় মামলা পর্যন্ত। এই ওসি একজন দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর হিসেবে সবার মুখে মুখে পরিচিতি লাভ করলেও কমেনি তার ঘুষ বাণিজ্য। এমন একের পর এক ঘুষ বানিজ্য ও দূর্নীতি নিয়ে ওসির বিরুদ্ধে ফলাও নিয়মিত করে খবর প্রকাশ করেন সংবাদকর্মীরা।
এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমানকে স্ট্যান্ড রিলিজের খবর ছড়িয়ে পরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনন্দের জোয়ার বইছে। মিস্টি বিতরন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান,
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে রংপুর ডিআইজি আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। সেই চিঠি পাওয়ার পর ওসি তদন্তকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই পদে নিয়োগ দেয়া হবে।